এ মাসের শুরুতে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে নতুন নির্বাচন আয়োজনে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা উপেক্ষা করে রাস্তায় নামছে মানুষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, বিক্ষোভকারীরা সামরিক জান্তার এ আশ্বাসের ব্যাপারে ব্যাপক সন্দিহান। দেশটির সামরিক বাহিনীর ভাষ্য, গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতে জনগণের সমর্থন আছে। তবে সেই ভাষ্যকে মিথ্যে প্রমাণ করে বুধবারও বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ইয়াঙ্গুনে জড়ো হয়েছেন অভ্যুত্থানবিরোধী কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বেসামরিক নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা জানায়। এদিনই আবার সু চির বিরুদ্ধে পুলিশের নতুন অভিযোগের খবরও জানাজানি হয়। ১ ফেব্রæয়ারি অভ্যুত্থানের দিন থেকেই আটক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সু চির বিরুদ্ধে প্রথমে অবৈধভাবে বিদেশ থেকে ছয়টি ওয়াকি-টকি আমদানির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এখন এর সঙ্গে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন’ লংঘনের অভিযোগও যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক শুনানিতে যুক্ত হন তিনি; তার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ১ মার্চ।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের পেছনে গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ‘জালিয়াতি’কে কারণ হিসেবে হাজির করেছে। ওই নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল। তবে সেনা-বক্তব্য নিয়ে খিন নামের এক বিক্ষোভকারী বুধবার বলেন ‘তারা যা বলছে, তা পুরোপুরি অসত্য। আমি তাদের কথা কোনোভাবেই বিশ্বাস করি না।’ ‘তারা বলছে যে ভোটে জালিয়াতি হয়েছে; কিন্তু দেখুন এখানে কত লোক,’ বলেন ইয়াঙ্গুনের বিক্ষোভের প্রধান কেন্দ্র সুলে প্যাগোডায় জড়ো হওয়া কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীদের একজন খিন। দেশটিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলন চলছে; কিছু কিছু প্রতিবাদ কর্মসূচিতে লাখো মানুষের উপস্থিতিও দেখা গেছে।