নির্বাচনের দিন বা আগে গণভোটের সুপারিশ

11

পূর্বদেশ ডেস্ক

সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা আগে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তরের পর এক ব্রিফিংয়ে সুপারিশের কিছু বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার পর এবং জাতীয় সংসদে সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার যেন গণভোট অনুষ্ঠান করে, আমরা এটা লিখিতভাবে বলেছি। এর বাইরে আমরা সরকারকে আজ বলেছি, অবিলম্বে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি তফসিল, (গণভোট) নির্বাচনের তফসিল তৈরি করে ফেলে। খবর বিডিনিউজের।
পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক স্পষ্টীকরণ বার্তায় বলা হয়, ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজের একটি বক্তব্য থেকে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনের দিনসহ তার আগে যে কোনো দিন সরকার জুলাই জাতীয় সনদ-এর ওপর গণভোটের আয়োজন করতে পারে, এই মর্মে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দিয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে ওই ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তনের জন্য ‘জনগণের ক্ষমতা’ যেন ব্যবহৃত হয়, সেই প্রস্তাব করেছেন তারা।
গণভোটের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এখনও আছে। এ প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন এবং গণভোট অনুষ্ঠান সকলেই মনে করেছে সবার অংশগ্রহণের জন্য এটা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যকীয়। সে বিবেচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব বা সুপারিশ করেছে।
তবে ওই আদেশ জারির পর কোন দিন গণভোট হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকার নেবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, সরকারকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য বলেছি।
রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তার আগে আরেকটি নির্বাচন করতে গেলে বিপুল অর্থের অপচয় হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন একজন নির্বাচন কমিশনার।