নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, উদীয়মান রোগ এবং পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় প্রাণী চিকিৎসক, খাদ্যবিজ্ঞানী, মৎস্য বিশেষজ্ঞ, বায়োটেকনোলজিস্ট ও নীতিনির্ধারকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সিভাসু শুধু দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান তৈরি করছে না, এটি নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে, সুনীল অর্থনীতি ও টেকসই জলজ চাষ প্রযুক্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। বর্তমানে সিভাসু সত্যিকার অর্থে একটি সেন্টার অব এক্সেলেন্সে পরিণত হয়েছে- এটি কেবল একাডেমিক প্রতিষ্ঠান নয়, উদ্ভাবন, ফলিত গবেষণা ও শিল্পের সঙ্গে অংশীদারিত্বের কেন্দ্র।
সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান।
উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত ভেটেরিনারি এপিডেমিওলজিস্ট ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আলাসডেয়ার অ্যালেক্স জে কুক। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের আহব্বায়ক ও ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও উদীয়মান রোগের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। এজন্য জ্ঞান, ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন সহযোগিতা গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
৩ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ শতাধিক গবেষক অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ১৬০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
আগামী ২৮ অক্টোবর বিকাল ৪টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।











