সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে গোয়েন্দা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা ও জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তাদেরকে আটক করা হয়নি। তাদের নিরাপত্তার জন্যই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজ’র
এ তিনজন হলেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গত শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাদেরকে নিয়ে আসা হলেও কয়েক ঘণ্টা কোনো বাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। পরে রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে ডিবি। রাতে তাদের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
মধ্যরাতে বিষয়টি নিয়ে ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার জানামতে তারা (তিন সমন্বয়ক) নিজেরাই তাদেরকে ইনসিকিউরড (অনিরাপদ) মনে করছে। তারা মনে করছিল তাদেরকে যারা বুদ্ধি পরামর্শ দিচ্ছে, তাদেরকে কেউ কেউ থ্রেট (হুমকি) করছে।
এই তিনজন বিভিন্নভাবে তাদের অভিভাবকদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছিল বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সেজন্য আমরা মনে করি, তাদের সিকিউরিটির জন্যই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার যে কারা তাদের থ্রেট দিচ্ছে, কারা তাদের ধমকাচ্ছে। সেটা জানার জন্যই তাদের ডেকে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা নেক্সট ব্যবস্থা নেব।
বর্তমান পরিস্থিতি বেশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, জনজীবনের স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এখন পর্যন্ত পুলিশ, বিজিবি, আনসার যারা আছেন তাদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসলেই কারফিউ তুলে নেওয়া হবে।