রাঙামাটি প্রতিনিধি
যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন- সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, সাংস্কৃতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক প্রতিনিধিসহ বুদ্ধিজীবী পেশায় জড়িত সংশ্লিষ্ট জেলার সুশীল সমাজের- এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা।
গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিগগির বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনা করে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হবে বলে জানান পার্বত্য মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা।
পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, খুব শিগগির গত সরকারের মনোনীত চেয়ারম্যান-সদস্যদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হবে। সম্পূর্ণ দল নিরপেক্ষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি নিয়ে এ তিনটি পরিষদ পুনর্গঠন করতে চাই। এ ব্যাপারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার অভিমত ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংসহ সবক্ষেত্রে উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপদেষ্টার সঙ্গে তার একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) কংকন চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অবসরপ্রাপ্ত সাবেক জ্যেষ্ঠ উপসচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা, রাঙামাটি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাঞ্ছিতা চাকমা, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি পৌর সভার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাঙামাটি প্রতিনিধি সাইফুল বিন হাসান, মনিরুজ্জামান মহসিন রানা, প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিক, সরিৎ কুমার চাকমা, অমল বিকাশ চাকমা, বিভাস দেওয়ানসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মতবিনিময়ে অংশ নেন।