পূর্বদেশ ডেস্ক
দিনাজপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। খবর বাংলানিউজের।
আটক ওই পরীক্ষার্থীর নাম কৃষ্ণকান্ত রায় (২৫)। তিনি বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সম্প্রতি স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। দিনাজপুর শহরের ফকিরপাড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, পরীক্ষার হলে কৃষ্ণকান্ত পরপর কয়েকবার কাশি দিতে থাকেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। পরে তার শরীর থেকে দুটি যোগাযোগ ডিভাইস উদ্ধার করা হয় একটি ক্ষুদ্রাকৃতির গোল ডিভাইস কানের ভেতরে বিশেষভাবে স্থাপন করা ছিল এবং অন্যটি স্যান্ডো গেঞ্জির সঙ্গে বিশেষভাবে আটকানো ছিল।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের কাছে আগেই তথ্য ছিল যে, এক পরীক্ষার্থী ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ নজরদারির পর ১০১ নম্বর কক্ষে ওই পরীক্ষার্থীকে তল্লাশি করে ডিভাইসসহ আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণকান্ত রায় স্বীকার করেছেন, ঢাকার একটি চক্রের মাধ্যমে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেন। চক্রটির নির্দেশ ছিল প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে কাশি দিতে হবে, যাতে ডিভাইসের অপর প্রান্ত থেকে তারা বুঝে নিতে পারে কোন সেট পরীক্ষায় এসেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাশি দিতে গিয়ে সন্দেহের জন্ম দেন এবং শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েন তিনি।
আরেক পরীক্ষার্থী, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দাবি করেছেন দিনাজপুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অন্তত ৫৫ জন পরীক্ষার্থী ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে চক্রটি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা করে নিয়েছে।











