পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন ও খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর স্মরণে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বাদে আসর হতে বাঁশখালী চাঁনপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে এক এশায়াত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাঁশখালী কদম রসুল হামিদিয়া মাদ্রাসার সাবেক আরবি প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হক, মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মুহম্মদ নাছির উদ্দিন প্রমুখ।
মাহফিলে বক্তারা বলেন, প্রিয় নবীজির মুহাব্বত ঈমানের মূলধন। রাসূলুল্লাহ (দ.)-কে নিজের সবকিছুর চেয়ে অধিক মুহাব্বত করতে না পারলে মানুষ ঈমানের পূর্ণতার স্তরে পৌঁছাতে পারে না। খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু যুবসমাজের মাঝে নবীপ্রেমের বিস্তার করেছেন। সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহ প্রদানের মাধ্যমে মানুষের অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধ করেছেন। যে তাওয়াজ্জুহ নিলে ইবাদাত বান্দেগিতে খুশুখুযু ও এখলাস সৃষ্টি হয়। দুনিয়াদারির মোহ ছেড়ে আখিরাতের দিকে ধাবিত হয়, আখিরাতের সম্বল জোগারে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠে। নবীজির মুহাব্বত ক্বলবে নিয়ে প্রতিদিন ১১১১ বার দরূদে মোস্তদা আদায়, মোরাকাবার অনুশীলন ও সুন্নাতে মোস্তফার বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইনসানে কামেল হওয়ার পথপরিক্রমা ও নিয়তের পরিশুদ্ধতা রয়েছে খলিফায়ে রাসূল হযরত গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহুর তরিক্বতে। মিলাদ কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে মুনাজাত করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির