রাঙামাটি প্রতিনিধি
নিজেদের ভুল ত্রæটি সংশোধন করে এ এলাকার মানুষের জন্য, দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি। ২ মে সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পাহাড়ের সন্ত্রাস মোকাবিলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঢেলে সাজানোর প্রশ্নে তিনি বলেন, ১৮৬০ সালে লংগদু থানা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৮৬০ সালে পুলিশের থানা চালু হয়েছিল। সেই সময় থেকে দিবা-রাত্রি ২৪ ঘন্টা থানার দরজা খোলা থাকত। জুলাই ২৪-এ এসে এটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ বাহিনী পুরোটা নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ আবার সাড়া দিচ্ছে। ৯৯৯ কল করলে সারা দিচ্ছে। আমি নিজেও পরীক্ষা করেছি। আমার এ সফরে প্রত্যেককে বলছি সেবার মান বাড়ানোর জন্য। বিপ্লবে এতগুলো বাচ্চা জীবন দিল, আমাদেরকে কষ্ট দেয়, পীড়া দেয়। আমাদের কাজ করতে হবে তাহলে সাফল্য আসবে।
পাহাড়ে চাঁদাবাজির প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যোগাযোগ হচ্ছে। একটা লোক যখন আটকা থাকে। তাকে দৌড়ে গিয়ে ধরা যায় না। তার জন্য আলাপ-আলোচনা করেতে হয়। কিভাবে করলে জীবনটা নিরাপদ হয় সেটা দেখতে হয়, বিভিন্ন পার্টির সাথে কথা-বার্তা বলতে হয়। ডিসি আমাকে পাশে রেখে বিভিন্নজনের সাথে যোগাযোগ করেছেন। একটা যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
এর আগে বিকেলে জেলা প্রশাসনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভ‚মিকা পালনে জেলা পর্যায়ের সকল দপ্তর প্রধান ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে তিনি এক মতবিনিময় সভা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল ইফতেকার হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌবাহিনী) মো. ফয়েজ আল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ সহ স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।