নারীদের উপস্থিতিতে সরগরম প্রচারণা

20

রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় গতবারের চেয়ে এবার নারীর উপস্থিতি অনেক বেশি। তবে এতে আওয়ামী লীগ সমর্থক নারীরা বেশ এগিয়ে আছেন। আর উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী জনসভায় বিএনপিতে নারীর উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। ইতোমধ্যে জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী রোকেয়া আক্তারের নেতৃত্বে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী নির্বাচনী উঠান বৈঠক শেষে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন।
ভোটারা বলেন, পূর্বের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগে নারীদের অংশগ্রহণ তেমন ছিলনা। বর্তমানে দেখছি পুরুষের ন্যায় নারীরাও নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগে অংশ নিয়ে ভোটারদের দ্বারপ্রান্তে ভোট ভিক্ষা চাইছেন। আগে নারীদের প্রচার প্রচারণা ছিল সীমিত। এখন দেখা গেছে পুরুষের চেয়ে নারীরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে। অনেক ভোটার বলেন, পুরুষের চেয়ে নারীরা ভোট কালেকশনে অনেক চৌকস। নারীদের ভোট চাওয়ার অনুভূতিটা অন্য রকম। যার কারণে নারীদের কাছে ভোটারা সহজে বরফের মত গলে যায়।জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছু বদলায় তাই মানুষ কেন বদলাবে না। যুগের পরিবর্তনে বদলিয়েছে এ দেশের নারী সমাজ। বিপ্লব ঘটিয়ে এদেশের নারীরা। জননেত্রী শেখ হাসিনা বদলিয়ে দিয়েছে এ দেশের নারী সমাজকে। আজ এ দেশের নারীরা মাথা উঁচু করে কথা বলতে শিখেছে। এই অবদান জননেত্রী শেখ হাসিনার। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ের মানুষ জননেতা দীপংকর তালুকদারকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সহাবস্থান থেকে নৌকা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদিন নৌকায় ভোট দেওয়ার জন জনগণের প্রতি আহবান জানান এই নেত্রী। পাহাড়ের জনগণ ভোট দিলে নৌকা বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী মিনারা বেগম বলেন, গত ১০ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না যার কারণে আর্থিকভাবে আমরা দুর্বল। তাই আমরা লোকজনদের পয়সাখরি দিতে পারি না। যার কারণে আমাদের নারী কর্মীর উপস্থিতি একটু কম। তারপরও ওদের তুলনায় অনেক বেশি বলতে হবে। তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে এবার নির্বাচনে নারী কর্মীদের উপস্থিতি অনেকটা বেশি। পৌরসভাসহ জেলার ১০ উপজেলায় কম বেশি আমাদের নারী কর্মীরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় কাজ করে যাচ্ছে। তাই ধানের শীষ জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ নিশ্চিত।