নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে নাম সংশোধনের কন্ট্রাক্ট নেওয়ার সময় আজম খান রুবেল নামে বোর্ডের এক অস্থায়ী কর্মচারীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। রুবেল বোর্ডে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষাবোর্ডে এ ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক আবুল বাসারকে আহŸায়ক করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন সহকারী সচিব সম্পাতা তালুকদার ও সহকারী সচিব আশরাফুল আলম তাসনীম। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, বোর্ডের নিচতলায় নাম সংশোধনের বিষয়ে আজম খান রুবেল নামে ওই ব্যক্তি ফোনে কথা বলছিলেন। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নাম ও বয়স সংশোধনের জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে আটক করে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিমের কক্ষে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম পূর্বদেশকে বলেন, রুবেল শিক্ষা বোর্ডের দৈনিক মজুরিতে একজন অস্থায়ী কর্মচারী। সে এখানে ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত আছে। নাম ও বয়স সংশোধন নিয়ে একটি চক্র সক্রিয় আছে এটি আগে থেকে জানতাম। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আজকে হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমি একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এতে বোর্ডে স্থায়ী কোন কর্মকর্তা জড়িত আছে কি না খুঁজে বের করতেও এ কমিটি কাজ করবে। কমিটিতে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।