নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

1

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে তরিকুল নামে এক বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার ফুলতলী ৪৭, ৪৮নং পিলারের মিয়ামারের ২শ’ মিটার অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত তরিকুল কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারে পণ্য ও গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে তরিক উদ্দিনের বাঁ-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তরিক উদ্দিনসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে চোরা কারবারের অভিযোগ রয়েছে। তারা সীমান্তের ৪৭, ৪৮নং সীমান্ত পিলারের কাছে পয়েন্টে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়। পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহত তরিক উদ্দিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা আরো জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ অবৈধ গরু। প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ফুলতলী, আশারতলী জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হচ্ছে মিয়ানমারে। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাশরুল হক বলেন, ফুলতলী এলাকার ৪৭, ৪৮নং পিলারের মিয়ানমারের ২শ’ মিটার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে এক কিশোর আহত হয়েছে। বাম পায়ে ও হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয় সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে তরিক উদ্দিন নামের একজনের আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি বিজিবি দেখছে।
বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা এসব কাজে জড়িত। ইদানিং চোরাকারবারিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট মজবুত করেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি সূত্রে জাানা যায়, বিজিবির তৎপরতায় চোরাকারবারিরা প্রধান রুট ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প পথ বেছে নিচ্ছে। যেখানে মাইন বিস্ফোরণের শিকার হচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি দায়িত্বশীল ভ‚মিকা পালন করে আসছে। ভবিষ্যতেও সীমান্ত নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।