বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী লম্বাবিল আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জব্বার রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা মাটি ভরাট করছেন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন বিষয় প্রচারিত হওয়ার পর শুক্রবার বিকাল লম্বাবিল আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জব্বার, তার ছেলে সাহাব উদ্দিন ও তার ভাই ভুট্টোর পাহাড় পরিদর্শনে আসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম, ২৭৮ নং মৌজার হেড়ম্যান মংচানো চাক, উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
পাহাড় কাটার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আগামী দুদিনের মধ্যে ২৭৮ নং মৌজার হেড়ম্যান মংচানো চাককে পাহাড়টি খাস কিনা খতিয়ান যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান এবং পরবর্তীতে পরিবেশ বিধ্বংসি সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ইউএনও। এর আগে বাইশারী মধ্যম চাক পাড়া সড়কে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে নির্মাণাধীন গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে সড়কের চলমান কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এদিকে খাল ও ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও অবৈধভাবে পাহাড়ের কাটা মাটি সড়ক নির্মাণের চলমান কাজে ব্যবহারের কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কঠোরভাবে সতর্ক করেন ইউএনও। পরবর্তীতে সড়কের কাজে খাল থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু ও মাটি ব্যবহার করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
গত ১২ মার্চ বুধবার বাইশারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে চলমান বাইশারী বাজার-হেডম্যান চাকপাড়া হয়ে মধ্যম চাকপাড়া ও ৮ নং ওয়ার্ডে চলমান তুফান আলী পাড়া-করিমার ঝিরি সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহাররু ইসলাম চৌধুরী।
