নববর্ষের সব আয়োজন বন্ধ রাখার নির্দেশ

18

দেশের নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে এবার নববর্ষে জনসমাগম করে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। মহামারী প্রতিরোধে গতকাল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নববর্ষের অনুষ্ঠান আমি মনে করি ডিজিটাল পদ্ধতিতেই আপনারা করতে পারেন। সেখানে সবাই যথাযথ আকারে করুন। কিন্তু বিশাল জনসমাগম করে এই অনুষ্ঠান সারা বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এটা আমার বিশেষ অনুরোধ’।
আসছে ১৪ এপ্রিল শুরু হবে বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন বছর-বঙ্গাব্দ ১৪২৬। নতুন বছরে পুরনো সব জীর্ণতা মুছে যাবে- এই প্রত্যাশা নিয়ে প্রতি বছর নানা আয়োজনে বৈশাখের প্রথম দিনটি উদ্যাপন করে
বাংলাদেশের মানুষ।
বর্ষবরণের এই উৎসবই বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। বৈশাখের প্রথম সকালে চারুকলার যে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হয়, তা এখন ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’।
কিন্তু এ বছর এমন এক সময়ে বাংলা নববর্ষ আসছে, যখন নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীরে পুরো বিশ্ব প্রায় অচল হয়ে আছে। বাংলাদেশেও দীর্ঘ ছুটি ঘোষণা করে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯ অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে বলে সব ধরনের জমায়েত আগেই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। গত ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠানও একই কারণে বাতিল করে টেলিভিশনের মাধ্যমে উদ্বোধনী আয়োজন দেখানোর ব্যবস্থা হয়।
এখন নববর্ষের আয়োজন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কষ্ট বেশি লাগছে আমার। এটা ঠিক যে নববর্ষের উৎসব এটা আমরাই শুরু করেছিলাম অনেক বাধা, বিঘœ অতিক্রম করে। কিন্তু আজকে সেটাও আমাকে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণের দিকে তাকিয়েই কিন্তু এটা আমি বন্ধ রাখছি। কাজেই নববর্ষের অনুষ্ঠান আপনারা করবেন না। এটা আপনারা মনে রাখবেন’। খবর বিডিনিউজের