নতুন সিইসি ‘জাফরুল্লাহর তালিকা’ থেকে

53

পূর্বদেশ ডেস্ক

সার্চ কমিটির কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠনের মাধ্যমে যে নামগুলো প্রস্তাব আকারে দেওয়া হয়েছিল সেই ৩৪২ জনের মধ্য থেকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। কমিটির সঙ্গে সাক্ষাতে গিয়ে যে ১০ জনের নাম দিয়েছিলেন গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, তার মধ্যে কাজী হাবিবুল আউয়ালও ছিলেন।
তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার অনেকদিন পর সঠিক কাজ করেছে। তাদের অভিনন্দন। আশা করি তাকে সব ধরনের সাপোর্ট দেওয়া হবে এবং তিনি তার দায়িত্ব পালন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন।
কোন বিবেচনায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম তালিকায় দিয়েছিলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, তার পরিবার ও অতীত বিবেচনা করে মনে হয়েছে তার ওপর আস্থা রাখা যায়। গত ১০ বছর তার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ নেই। নাম দেওয়ার বিষয়ে আমি তার কাছে অনুমতিও চাইনি। আমার চিন্তার স্বচ্ছতায় মনে করেছি তিনি কাজটি ভালোভাবে করবেন। উনার কর্মজীবন পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। উনার পিতা আইজি প্রিজন হিসেবেও দক্ষ ও সৎ ব্যক্তি ছিলেন।

অপরদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদস্যরা সরকারের পছন্দের লোক। তাঁরা সবাই সরকারের অনুগত, সুবিধাভোগী ও তোষামোদকারী। এদের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না তারা।’
গতকাল শনিবার বিকেলে নবগঠিত ইসির বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তার দলের কোন আগ্রহ নেই। তাদের কাছে এটি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন কমিশন কাজ করতে পারবে না। এটা জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। তার অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে তাতে আমরাসহ সব দল অংশ নেবে।
নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা এ সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ হয়েছে। প্রশাসনের সর্বত্র সরকারের লোকজন। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সরকারের সুবিধাভোগী। সরকার তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। অনুগত বলেই তাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার যে নাটক করেছে যার শেষ ধাপ ছিল ইসি গঠন। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্চ কমিটি সরকারের তালিকা অনুযায়ী লোকদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতিও সরকারের দেওয়া পাঁচজনের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এটা পুরোটাই নাটক।