শামসুদ্দীন শিশির
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের দোরগোড়ায়। এর মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে লিখেছেন শিক্ষার উন্নয়নে নিরন্তর ছুটে চলা বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক – এর নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষকের ভূমিকা শীর্ষক গ্রন্থে। গ্রন্থের ৪৫টি প্রবন্ধকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে রয়েছে ১৯ টি প্রবন্ধ। যেখানে লেখা আছে নতুন শিক্ষাক্রমের নানান দিক নিয়ে। দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে ০৮টি প্রবন্ধ। যেখানে লেখক সুনিপুণ ভাবে তুলে এনেছেন নতুন শিক্ষাক্রমের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক। শেষ এবং তৃতীয় পর্বে রয়েছে ১৭টি প্রবন্ধ। এখানে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক কী ভূমিকা পালন করবেন তার অনুপুঙ্খ ব্যাখ্যা সবিস্তারে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন।
লেখকের সুদীর্ঘ দিনের শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থেকে। লেখকের মতে, গত কয়েক বছরে আদিষ্ট হয়ে যাঁরা অতুলনীয় সব কাজ করেছেন, এই লেখাগুলো পড়তে পড়তে সেই সব শিক্ষকদের তাঁদের অসাধারণ অভিজ্ঞতাগুলোর কথা মনে পড়বে। তার চেয়েও বড় কথা, যে সব তত্তে¡র ভিত্তিতে সেই সব কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেগুলোও তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাঁরা বুঝবেন যে ইতোমধ্যেই তাঁরা বাংলাদেশের শিক্ষায় একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচনা করেছেন এবং তাঁরা এই আস্থাও লাভ করবেন যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই দিনকে তাঁরা আমাদের স্বপ্নের ২০৩০ বা ২০৪১ -এর সেই দিনে নিয়ে যেতে পারবেন”। বইটি প্রকাশ করেছে দেশ খ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাঞ্জেরী। চমৎকার ছাপা, কাগজ, বাঁধাই সব মিলিয়ে আকর্ষণীয় এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমাজের সকলেরই প্রয়োজনীয় বইটি রকমারি ডটকম এবং দেশের সকল অভিজাত বইয়ের দোকানে পাবেন। বইটির গায়ের দাম- ৬০০/- টাকা। আমার বিশ্বাস বইটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নতুন পথের ঠিকানা দিবে। আজই সংগ্রহ করুন।