নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। দলের আহব্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। আর নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান সমন্বয়কারী, হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দফায় দফায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকের পর এই নাম ঠিক করেছেন উভয় সংগঠনের নেতারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নামের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যে আমাদের আরও আলাপ-আলোচনা সুযোগ আছে। তবে নাগরিক কমিটির শীর্ষ পদে থাকা একাধিক ব্যক্তি দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির ফেসবুক পেইজেও গতকাল বিকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, ইংরেজিতে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি) লিখে পোস্ট করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটিয়ে এই দলের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
এরইমধ্যে নতুন দলের আহব্বায়ক কমিটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার নাম চূড়ান্ত হয়েছে। কয়েকটি পদে একাধিক আগ্রহী ব্যক্তি থাকায় সেগুলো নিয়ে এখন আলাপ-আলোচনা চলছে।
গতকাল দুপুরে নাগরিক কমিটির অফিসে আসেন সদ্য উপদেষ্টা পদ ছেড়ে আসা নাহিদ ইসলাম। পরে দুই সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসেন।
গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির বর্তমান নেতৃত্বের বড় অংশ নিয়ে গঠন করা হচ্ছে এই নতুন দল।
বর্তমান কমিটিতে নেই এমন অন্তত ৩০ শতাংশ নতুন মুখ যুক্ত করে দেড়শ থেকে ২০০ জনের একটি আহŸায়ক কমিটির মাধ্যমে হবে দলের গোড়াপত্তান। ধীরে ধীরে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩০০ জনে উন্নীত হবে। ততদিনে সমান্তরালভাবে জেলা কমিটিগুলো গঠন করা হবে।
সারা দেশে এ দলের কাঠামো ছড়িয়ে দিতে একের পর এক থানা কমিটি দিয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। দলের গঠনতন্ত্র, দর্শন, ঘোষণাপত্র, দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করতে চলছে নানা তৎপরতা।
নতুন দলের আহব্বায়ক পদে নাহিদ ইসলামের নাম আলোচনায় ছিল আগে থেকেই। দল ঘোষণার দিণক্ষণ চূড়ান্তের পর মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও স¤প্রচার উপদেষ্টার পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।
৩৬ দিনের যে আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন, তার অগ্রভাবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা নাহিদ ইসলাম। তখন তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।
দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা থেকে শুরু করে বিক্ষোভের ময়দানে দিনের পর দিন সোচ্চার নেতৃত্বে দেখা গেছে ২৬ বছরের এই তরুণকে। সেজন্য তাকে যেতে হয়েছে ‘আয়নাঘরেও’।