যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে যুবদল নেতারা বলেছেন, ‘নেতৃত্বে যেমন নতুন সম্ভাবনা থাকে, তেমনই আন্দোলনের ধারাবাহিকতাও তৈরি হয়। অতিদ্রæতই আমাদের দেশের যুবসমাজের মূর্তপ্রতীক হয়ে উঠবে এই যুবদল। নিজেদের অধিকার আদায়ে, স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুবদল। এটি এক নতুন যুগের সূচনা, যেখানে যুবদল আবারও জাতির মুক্তির সিঁড়ি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
গতকাল রবিবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন অংশ নেতা যুবদল নেতৃবৃন্দ। সংক্ষিপ্ত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ।
মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, যুবদল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। যুবদলে নেতৃত্বদানকারী নেতারাই এখন দেশের বিভিন্ন গুরুত্ব পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ‘যুব-ঐক্য-প্রগতি’ মূলমন্ত্র নিয়ে গঠন করেছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদল।
সমাবেশে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আজকের এদিনটি আমাদের কাছে একটি মহান স্মৃতির, যা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে গড়ে উঠা একটি শক্তিশালী সংগঠনের উদ্ভবের সূচনা করে। যুবদল শুধু নিজ সংগঠনের জন্য নয়, বরং দেশের জনগণের জন্যও আশার দিশারী।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। মেডিক্যাল ক্যাম্পে নগর যুবদলের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ইফতেখার মো. আদনান ও সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. হাসানুল বান্না’র নেতৃত্বে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
এসময় নগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, এসএম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, আব্দুল করিম, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মো. মুছা, মিয়া মো. হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মুজিবুর রহমান, মো. আবু সুফিয়ান, অরুপ বড়ুয়া, মো. আলী সাকী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, মো. হুমায়ুন কবির, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ উল্লাহ, মো. এরশাদ হোসেন, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, শাহীন পাটোয়ারী, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, রাজন খান, ওমর ফারুক, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, জাহাঙ্গীর আলম বাঁচা, ওসমান গনি, শাহজালাল পলাশ, আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ ইয়াছিন, জমির উদ্দিন মানিক, সাবেক সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, গাজী ফারুক, মহিউদ্দিন মুকুল, এসএম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, আসাদুজ্জামান রুবেল, ডা. মীর কাশেম মজুমদার, ডা. ইফতেখার আমীন রিজভী, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. ফয়সাল, তারেকুল ইসলাম, ডা. ফরহাদ আলম, ডা. জুবায়ের আল মাহমুদ, ডা. এনাম উদ্দিন, ডা. নাঈম, ডা. মতিউর রহমান, সাবেক সহ-সম্পাদক যথাক্রমে আতিকুর রহমান, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জৌতি বড়ুয়া, কামরুল ইসলাম, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মোহাম্মদ হাসান, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, হামিদুল হক চৌধুরী, মাস্টার ফজলুল রহমান, আনোয়ার হোসেন আনু, আরিফ হোসেন, নুরুল ইসলাম আজাদ, হাফেজ কামাল উদ্দিন, ফারুক হোসেন স্বপন, গুলজার হোসেন মিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, হোসেন উজ জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান দুলাল, মিফতাহ উদ্দীন সিকদার টিটু, মো. ইউসুফ, সদস্য আইয়ুব আলী, শাবাব ইয়াজদানী, মো. কলিম উল্লাহ, সোহাগ খান, সাইদুল হক শিকদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল করিম, সাখাওয়াত কবির সুমন, থানা যুবদলের সাবেক আহŸায়ক শফিউল আজম, বজল আহমেদ, মোশাররফ আমিন সোহেল, মো. খোরশেদ আলম, সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, শেখ রাসেল, মোর্শেদ কামাল, হাবিবুল্লাহ খান রাজু, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক নুর খান, সাইফুল আলম রুবেল, ইউনুছ মুন্নাসহ বিভিন্নস্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি