নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা অনস্বীকার্য

1

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, শ্রমিক অঙ্গনের মূল শক্তি ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন। ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন সরকার কর্তৃক স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠন। এই সংগঠন যখন শ্রমিকের অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলে তখন সরকার তাদের কথা শুনতে বাধ্য হয়। তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে আলোচনা পর্যালোচনা জন্য বৈঠক আহবান করে।
তিনি গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের বিআইএ মিলনায়তনে নগর ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ট্রেড ইউনিয়নের নবগঠিত কার্যকরী সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নগর সভাপতি এসএম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর জামায়াতে ইসলামীর আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও অঞ্চল পরিচালক লস্কর মো. তসলিম, চট্টগ্রাম-৯ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. একেএম ফজলুল হক।
সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দেশের মোট শ্রমিকের ৬৩ ভাগ ট্রেড ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে যদি কুরআন সুন্নাহর পথে নিয়ে আসা যায় তাহলে দেশের আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে। আর সেই অভ্যুত্থান হবে ইসলামের। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় ন্যায়ের ভিত্তিতে ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। খোলাফায়ে রাশেদার সেই কল্যাণময় রাষ্ট্র এই দেশে খুব দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন নগর ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মকবুল আহমদ ভ‚ঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ নূরনবী, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাব উল্লাহ, অফিস সম্পাদক স ম শামীম, সহ-প্রচার সম্পাদক সম্পাদক আব্দুর রহীম মানিক, হোটেল সেক্টরের সভাপতি সাব্বির আহমেদ ওসমানি, পাঁচলাইশ থানা সভাপতি আমির হোসেন, নির্মাণ সেক্টরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও পতেঙ্গা থানা সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
মুহাম্মদ লস্কর মো. তসলিম বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ হবে শ্রমিকবান্ধব। তারা সততা ও ন্যায়ের পরীক্ষায় হবে উত্তীর্ণ। এই রকম একদল ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আমরা দেশে ইসলামী শ্রমনীতি কায়েম করতে চাই। ইসলামী শ্রমনীতি কায়েম হলে দেশে শ্রমিকের উপর চলা নানামুখী শোষণ-নিপীড়নের অবসান ঘটবে বলে আসরা বিশ্বাস করি। বিজ্ঞপ্তি