চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিক প্রত্যাশার জায়গা বিশাল। এরমধ্যে অন্যতম হলো যানজট নিরসন ও নাগরিক নিরাপত্তায় নগরীতে স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন। নগরের সকল অংশীজন ও দপ্তরকে সম্পৃক্ত করে অতি শীঘ্রই নগরীতে স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়াও নগরের প্রবেশ পথের যানজট নিরসনে আগামি ছয় মাসের মধ্যে উত্তর চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার অক্সিজেন কুলাগাঁও এলাকায় আধুনিক বাস টার্মিনাল চালু করা হবে। দক্ষিণ জেলার জন্য নতুনব্রীজ সংলগ্ন বাকলিয়ায় স্বল্প পরিসরে মিনি টার্মিনাল স্থাপন করা হবে।
মাল্টি-পার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট নিরসনে সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নাগরিক নিরাপত্তায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এফসিডিও’র অর্থায়নে বি-এসএপিসিই প্রকল্পের আওতায় এই গোলটেবিল আলোচনা সভায় সহায়তা করে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।
মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনয় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের কর্মকান্ড উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার সদরুল আমিন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা চট্টগ্রাম মহানগরে যানজট নিরসনে সিটি ট্রান্সপোর্টেশন মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এআই নির্ভর সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবি জানান। এছাড়াও নগরীর ইন্টারসেকশনসমূহ যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উপযোগী করে গড়ে তোলা, নগরীতে পর্যাপ্ত বাস-বে প্রতিষ্ঠা করা, নগরীর প্রবেশ মুখে পরিকল্পিত বাস টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা করা, নগরীতে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্ল্যান করা। ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ সড়ক লেইন মেনে চলতে যানবাহন চালকদের উদ্বুদ্ধ করা, যানবাহনের বেপোরোয়া ওভারটেকিং বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা, যানবাহনের গতিসীমা সাইন স্থাপন ও রোড মার্ক করা, স্বল্পগতির গতির যানবাহনসমূহকে ফ্লাইওভার ব্যবহার করতে না দেওয়া, বেপোরোয়া মোটরবাইক চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা, ফ্লাইওভারে রিফ্লেকটর স্থাপন করা, ডিভাইডারের স্থানচ্যুতি (বায়েজিদ লুপ-মুরাদপুর ফ্লাইওভার) ঠিক করা, ফ্লাইওভারে পায়ে হাঁটা ও যানবাহন দাঁড় করিয়ে আড্ডা দেয়া বন্ধ করা, ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়ন ও সিসিটিভি স্থাপন। এছাড়াও বক্তারা নগরে ছিনতাইরোধে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, পুলিশ পেট্রলিং বৃদ্ধি করার উপর জোর দেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এডহক কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, সিএমপির ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) জয়নুল আবেদীন টিটু, চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি এসএম সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাহিদুর রহমান, অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন, ক্যাব সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার সাবেরী, দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ আলী, পরিবেশবাদী সংগঠন ধরা’র সদস্যসচিব শারুদ নিজাম, সিডিএ নগর পরিকল্পনাবিদ ফুয়াদুল করিম, বিআরটিএ প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, গার্মেন্টস মালিক সমিতির প্রতিনিধি এসএম মাসুদ, পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি হুমায়ুন কবির সোহেল ও মহাসচিব আজিজুল হক, পিকআপ মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, গণপরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম লালন। বিজ্ঞপ্তি