নগরীতে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর বাকলিয়ায় মুড়ি তৈরিতে অপরিশোধিত বিষাক্ত শিল্প গ্রেডের লবণ ব্যবহারের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি ও পণ্যের মোড়কজাত বিধিমালা লংঘণ করায় আরও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল সোমবার নগরের বাকলিয়াস্থ রাজাখালী এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ’র নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে কোতোয়ালী এলাকার মেহমান হোটেলে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি, রান্না করা বাসি তরকারি, কাঁচা মাছ-মাংসের সাথে ফ্রিজে সংরক্ষণ ও কেমিক্যাল রং ব্যবহার করায় ১৫ হাজার টাকা, বাকলিয়া এক্সেস রোডের সিজলে পণ্যের মোড়কজাত বিধিমালা লংঘন করায় ৫ হাজার টাকা এবং তোফাজ্জল হোসেন মুড়ি কারখানাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, অপরিশোধিত শিল্প গ্রেডের লবণ মূলত লন্ড্রিতে ডিটারজেন্ট হিসেবে, গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিতে ফাইনিং এজেন্ট (বাতাস দূর করার উপকরণ), কার্পেট ফ্রেশনার (ময়লা পরিষ্কারক) হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ডায়িং ও স্কিনিং কারখানা, পেপার মিল, জুট মিল ও চামড়া পরিশোধন কারখানায় ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেসের তথ্য অনুযায়ী, শিল্পলবণ (সোডিয়াম সালফেট) খেলে মানুষ ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মানবদেহের কিডনি, লিভারসহ নানা অঙ্গে জটিল রোগ হতে পারে। আর এই লবণই ব্যবহার করা হচ্ছিল তোফাজ্জল হোসেন মুড়ি কারখানায়।
উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ জানান, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুতকরণ, রান্না করা বাসি তরকারি কাঁচা মাছ-মাংসের সাথে ফ্রিজে সংরক্ষণের দায়ে মেহমান হোটেলেকে ১৫ হাজার, বাকলিয়া এক্সেস রোডে সিজলে পণ্যের মোড়কজাত বিধিমালা লঙ্ঘণ করায় ৫ হাজার টাকা ও মুড়ির কারখানায় শিল্প গ্রেডের লবণ ব্যবহারের দায়ে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় ও পুলিশের সমন্বয়ে নিয়মিত বাজার তদারকির আওতায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান ও রানা দেবনাথ।