নগরীতে হবে ৭ তাজিয়া মিছিল

7

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল রবিবার ১০ মহররম পবিত্র আশুরা। যথাযোগ্য মর্যাদায় আশুরা উদযাপনে এবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭টি তাজিয়া মিছিল বের করা হচ্ছে। এই আয়োজন নির্বিঘœ ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে গতকাল শুক্রবার সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এর আগে মিছিল আয়োজনকারী পক্ষগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে নগর পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ গতকাল শুক্রবার তাজিয়া মিছিলের বিধিনিষেধ সম্পর্কিত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এই বিধিনিষেধ মিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে মহানগরী এলাকায় বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। তাজিয়া মিছিলে কিছু ব্যক্তিবর্গ দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে অংশগ্রহণ করে। এতে ক্ষেত্রবিশেষে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে; যা ধর্মপ্রাণ ও সন্মানিত নগরবাসীর মনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। তাছাড়া মহররম মাসে পবিত্র আশুরা উদযাপনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়, যা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ও ৩০ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
এর আগে গত ৩০ জুন দামপাড়াস্থ নগর পুলিশের দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বলা হয়, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৭টি তাজিয়া মিছিল শহরের বিভিন্ন রুট প্রদক্ষিণ করবে।
সভায় মিছিল প্রদক্ষিণকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ে কর্মপরিধি প্রণয়ন করা হয়। পাশাপাশি পবিত্র আশুরা সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে সিএমপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, দিনের বেলায় তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করা। রাতের বেলায় তাজিয়া মিছিল এবং রাস্তায় কোন ধরনের সমাবেশ না করা। তাজিয়া মিছিলে ছোরা, বল্লম, চাকুসহ যেকোনও ধরনের অস্ত্র বহন না করা। নির্ধারিত সময়ে মিছিল শুরু ও শেষ করা এবং মিছিলের রুট ও সময় সংক্ষিপ্ত করা। সিসি ক্যামেরার কাভারেজ রয়েছে এমন রুটকে প্রাধান্য দেওয়া। তাজিয়া মিছিলে আতশবাজি/পটকা বহন ও ফোটানো থেকে বিরত থাকা। দু’টি তাজিয়া মিছিল মুখোমুখি হতে না দেওয়া এবং এক মিছিলের রুটে অন্য মিছিল যাওয়া বিরত রাখাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে সিএমপির হটলাইনে ফোন করে জানাতে বলা হয়েছে।