নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরতলীর কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের তিনদিন পর এবার নগরীর খুলশী থানার টেকনিক্যাল মোড় এলাকা থেকে এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার ভোরে সাদমান সামিদুর রহমান নামে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সাদমান ষোলশহর আল মাদানি সড়কের ওবায়দুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার ভোরে টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় সড়কের পাশে ওই যুবকের ক্ষত-বিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। খবর দেওয়া হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশকে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক টিম ঘটনাস্থলে আসার পর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নিহত ওই যুবকের পকেটে সেন্টমার্টিন পরিবহন লিমিটেডের একটি টিকিট ছাড়া আর তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। টিকিটটি গত শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য কাটা হয়েছিল।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবিরুল ইসলাম বলেন, ভোরে টেকনিক্যাল মোড়ে দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, একটি কাভার্ডভ্যানের সামনে ওই যুবক লাফ দেন। কাভার্ডভ্যানটি তাকে টেনে কিছু দূরে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাত আটটার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় মোহাম্মদ আনিস (৩৮) ও মাসুদ কায়সারকে (৩২)। এর মধ্যে আনিসকে নগরের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের নাহার কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এবং মাসুদকে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকায় গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। নিহত আনিস ও মাসুদ হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার বাসিন্দা। দুজনই স্থানীয় রাজনীতিতে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা ইউনুস গণি চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় হাটহাজারী ও নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।