নগরীতে ভোরে একপশলা বৃষ্টি, কিছুটা স্বস্তি

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তাহজুড়ে অস্বস্তিকর গরমের পর গতকাল শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর কোথাও কোথাও মৌসুমের প্রথম এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে টানা গরম থেকে সামান্য স্বস্তি মিলেছে নগরজীবনে। মৌসুম শুরুর পর দেশের কয়েকটি অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেলেও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের খবর মিলেছে। তাই চৈত্রের দাবদাহে এখন পর্যন্ত ক্ষণিকের স্বস্তির ঠিকানা হয়ে রয়েছে পাগলা হাওয়ার দাপট।
এদিকে চট্টগ্রামসহ দেশের চার অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রামের বাইরে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসের আওতায় ময়মনসিংহ, সিলেট, এবং কক্সবাজারও রয়েছে। এ কারণে এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে।
এর আগে এপ্রিল মাসে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, এ মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হতে পারে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। এছাড়া এপ্রিলে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। পাঁচ থেকে সাত দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের এবং এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখি ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দু’টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নি¤œচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসে দেশে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং এক থেকে দু’টি তীব্র (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এপ্রিল মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে। তবে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে এ অঞ্চলের নদ-নদীর পানি সময় বিশেষে দ্রæত বাড়তে পারে।