নগরীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীতে সন্ত্রাসী সংগঠন বিবেচনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রবিবার দিবাগত রাতে সিএমপির পাঁচলাইশ ও চাঁন্দগাও থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দিদারুল আলম চৌধুরী দিদার (৪২), মো. সজিব হোসেন মধু (২১) ও আমিনুল ইসলাম রোহান (২৪)।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাতে নগরীর প্রবর্তক মোড়ের পশ্চিমে মিমি সুপার মার্কেটের বিপরীতে পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রবর্তক মোড় হয়ে বদনা শাহ মাজারের সামনে এগিয়ে যায়। এরপর যুবকরা যে যার মতো করে দ্রুত বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পড়েন। মিছিলে অংশ নেয়া যুবকদের সবার মুখে মাস্ক ছিল। পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই মিছিলের ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ মিমি সুপার মার্কেটের পেছনে শিশু একাডেমির পাশে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা দিদারুল আলম চৌধুরী দিদারকে গ্রেপ্তার করে। তিনি চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীন ব্যাটমিন্টন কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান। এছাড়া চান্দগাঁও থানা পুলিশ মো. সজিব হোসেন মধু নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ছাত্রলীগ কর্মী এবং সরাসরি ওই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
নগর পুলিশের এডিসি (পিআর) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দোকানকর্মী ফারুক হত্যার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার মামলার তদন্তে হত্যাকান্ডের সঙ্গে দিদারুল আলমের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরদিকে পৃথক অভিযানে চান্দগাঁও থানাধীন দক্ষিণ মোহরা শাহ আলম কন্ট্রাক্টরের বাড়ি এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা আমিনুল ইসলাম রোহানকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার আমিনুল নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন দক্ষিণ মোহরা এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি মোহরা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিন জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রোহানের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে চান্দগাঁও ও কোতোয়ালী থানায় দুটি মামলা হয়েছে। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। কোতোয়ালী থানায়ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে আরেকটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।