চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়িতে ৩ জিপগাড়িতে চড়ে সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা দীর্ঘ ৪ ঘন্টা ধরে মহড়া দিয়েছে। এ সময় তারা সড়ক সংস্কারের কাজ পাওয়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের খোঁজ করে। পরে মোবাইল ফোনে ঠিকাদারের সাথে কথা বলে ৩ দিনের সময় দিয়ে চলে যায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধোপাছড়ি দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় গতকাল শনিবার বিকালে ৩টি খোলা জিপে করে ৪৫ জনের সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসী ধোপাছড়ি বাজারে এসে নামে। এ সময় তারা স্থানীয় মেম্বার মোজাম্মেল হক ও মুজিবুল হক খোকাকে নিয়ে পায়ে হেঁটে ডলুপাড়া হয়ে চিড়িংঘাটা, ধোপাছড়ি-গাছবাড়িয়া সড়কে মহড়া দেয়। এ সময় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা মোজাম্মেল ও খোকা মেম্বারকে জিম্মি করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সড়কে কাজ করা ঠিকাদারকে খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ করতে থাকা লোকজনদের থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোনে কথা বলে ৩ দিনের সময় দিয়ে প্রায় ৪ ঘন্টা পর পুনরায় ডলুপাড়া হয়ে চলে যায় তারা। অথচ ডলুপাড়া এলাকায় আর্মিদের ক্যাম্প রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেম্বার মোজাম্মেল হক।
দীর্ঘক্ষণ পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের মহড়ার কারণে পুরো ধোপাছড়ি এলাকার মানুষ দিনভর আতংকে ছিল। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আর্মি ক্যাম্পে খবর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেম্বার মোজাম্মেল হক।
থানার অফিসার ইনচার্জ ইমরান আল হোসাইন বিষয়টি জেনেছেন জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। পাশাপাশি ধোপাছড়ি বিটে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি আক্রমণ করলে প্রয়োজনে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানান। উল্লেখ্য, সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাছবাড়িয়া-ধোপাছড়ি সড়কে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে সড়কের সাইড ওয়াল ও প্লাসিডিং এর কাজ চলমান রয়েছে।