নিজস্ব প্রতিবেদক
পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং এলাকায় ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির প্রতিশোধের শিকার হচ্ছেন এক পুলিশ সদস্যের পরিবার। পুলিশ সদস্য নেছার উদ্দীনের স্ত্রী নাহিদা আকতার রেশমী অভিযোগ করেছেন, তার পরিবারকে বারবার হামলা, হুমকি ও চাঁদা দাবির মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে রেশমী বলেন, ‘আমার স্বামী মো. নেছার উদ্দীন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। তিনি ২০২১ সালে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন (পটিয়া থানার মামলা নং-১৯৯/২১)। মামলায় সাজ্জাদ জেল খাটার পর মুক্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে আমাদের পরিবারকে টার্গেট করেছেন।’
তিনি জানান, তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে নতুন ঘর নির্মাণ করতে গেলে সাজ্জাদ হোসেন, সালাহ উদ্দিন ছেলো ও হাফেজ নামের তিন ব্যক্তি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেন এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরই মধ্যে তারা নির্মাণসামগ্রী ভেঙে ফেলে, রড-সিমেন্ট লুট করে, এমনকি তার কন্যাকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করে। পাশাপাশি স্বামীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করানোর হুমকিও দেওয়া হয়।
রেশমী অভিযোগ করেন, ‘তারা আমাদের ঘরে ভাঙচুর করে লুটপাট চালিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই জিডি করে। তবে মাননীয় আদালতের তদন্তে সে জিডি থেকে আমার স্বামী ও ভাগিনা হাবিব অব্যাহতি পেয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি একজন পর্দানশীল নারী। ছোট কন্যা ও বৃদ্ধ শ্বশুরকে নিয়ে বাড়িতে থাকি। স্বামী কর্মস্থলে থাকায় পরিবার নিয়ে প্রতিনিয়ত ভয়ে, আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাতে হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্তরা সরকারি খাস জমিতে বেআইনিভাবে বালি ও সিমেন্ট ফেলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে প্রতিবেশীরা হাঁটু পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন, কিন্তু অভিযুক্তদের প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. জয়নাল আবেদীন, মো. হাবিব, নুসরাত জাহানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
