ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

21

নিজস্ব প্রতিবেদক

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় গতকাল শনিবার রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ্ মাফ ও মনোবাসনা পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি এবং অধিক সাওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।
লাইলাতুল কদর উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগির আয়োজন করা হয়। পবিত্র এ রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
চট্টগ্রামের সর্বত্রও এই রজনীকে কেন্দ্র করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত, মসজিদে মসজিদে বিশেষ বয়ান, জিকির-আজকার, রাতভর ইবাদত-বন্দেগীতে অতিবাহিত করেন মুসলমানেরা। পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে সবগুলো মসজিদেই ছিল মুসল্লীদের সরব উপস্থিতি। কবরস্থানগুলোতে ছিল মানুষের ব্যাপক আসা-যাওয়া। সারারাত ব্যাপি ইবাদত-বন্দেগী শেষে ভোররাতে সেহেরি খেয়ে ফজরের নামাজ আদায় শেষে শেষ হয় শবে কদরের আনুষ্ঠানিকতা।
গতকাল মাগরিবের পরপরই চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদসহ চট্টগ্রামের বড়-ছোট সব মসজিদেই মুসল্লিরা সমবেত হন। এশার নামাজ জামাতে আদায়ের পর সবাই নফল নামাজসহ নানা ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হন। বাসাবাড়িতে সারা রাত জেগে ইবাদত করেন নারীরাও। চট্টগ্রাম নগরের কর্ণেলহাট জামে মসজিদসহ বেশকিছু মসজিদে নারীরাও সমবেতভাবে নামাজ আদায় করেন। ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় ও আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে ঘরে ফেরেন অনেকেই।
লাইলাতুল কদরের রাত বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত। লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রজনী বা মর্যাদাসম্পন্ন রাত। পবিত্র এ রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর নাজিল হয়েছিল পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। নবী করিম (সা.) এ রাতে নিজে ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং তার সাহাবিদেরও বেশি বেশি ইবাদত করার নির্দেশ দিতেন। রমজান মাসের ২১ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে বেজোড় সংখ্যার রাতেই পবিত্র লাইলাতুল কদর। তবে ২৭ রমজান অর্থাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকেই কদরের রাত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।