চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আমাদের সবার পরিচয় হচ্ছে আমরা বাংলাদেশি। সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু তত্ত¡ না আসার জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটাকে মেনে না নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। আওয়ামীলীগই এদেশে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করেছে। গত পনের বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন করেছে। বিএনপি সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করেছে। যেখানে ধর্মে ধর্মে কোনো বিভেদ ও ঘৃণার কোনো রাজনীতি থাকবে না। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে রয়েছে। ধর্মীয় পরিচয়ে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সবাই বাংলাদেশি।
তিনি ৮ জানুয়ারি বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় নগরীর জেএমসেন হলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব ধর তমালের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক বিপ্লব পার্থের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য খোরশেদ আলম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আলি নূর, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বসর, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহবায়ক অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, জন্মাষ্টমী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, জাতীয় সঙ্গীত পরিষদের আর কে দাস রূপু, মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. নিখিল নাথ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, মহানগরের সদস্য সচিব বাপ্পি দে, দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, মহানগর যুগ্ম আহবায়ক বাবলু নাথ, দিপক চৌধুরী কালু, অসিম বনিক, সন্জয় ধর সনজু, মিঠুন দাস, সদস্য সাজু দাস, সুকান্ত মজুমদার, রাজু দাস, সুজন ধর, জীবন মিত্র রাজ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি