সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সৃষ্টির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার, সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব এবং পৃথিবীবাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। শৈশব থেকে ওয়াফাত পর্যন্ত তিনি ছিলেন চারিত্রিক মাধুর্যে অনন্য। মানবতার ইতিহাসে তিনি এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি বাল্যকাল থেকে ছিলেন সততার অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁকে বলা হতো আস্ সাদেক, আল আমীন তথা পরম সত্যবাদী ও আমানতদার। তিনি তাঁর সততা, ন্যায়পরায়ণতা, ধৈর্য, সহনশীলতা, ক্ষমা, সাহসিকতা, উদারতা, সংযম, মহানুভবতা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, প্রখর বুদ্ধিমত্তা, সুমিষ্ট আচরণ, মানবাধিকার, নারী অধিকার, সকল ধর্মের মানুষের প্রতি সদাচরণ ইত্যাদি গুণাবলীর কারণে বিশ্বের বরেণ্য ব্যক্তিরা তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকারোক্তি এবং ভূয়সী প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছেন।
শুধুমাত্র পবিত্র কোরআনের ভাষায় এবং মুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিকোণ থেকেই তিনি একজন মহামানব নন; বরং বিশ্বের খ্যাতনামা অমুসলিম মনীষীগণ স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন অনুপম আদর্শ, সুমহান চরিত্র এবং কালজয়ী যোগ্যতাসম্পন্ন এক মহামানব। বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা অমুসলিম পÐিত, গবেষক, কবি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, ধর্মগুরু এবং সমাজ সংস্কারকগণ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তাঁর চারিত্রিক দিকগুলো নিয়ে গবেষণালব্ধ অনেক বই-পুস্তক রচনা করেছেন। যাতে তাঁর প্রতি ওই সকল অমুসলিম মনীষীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
তাঁরা তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের নানা বিস্ময়কর কর্মদক্ষতাকে নিয়ে নিরপেক্ষ গবেষণার মধ্য দিয়ে উপরোক্ত রেজাল্টে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সততা, আন্তরিকতা, আদর্শ ও অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের প্রভাবে অকপটে সত্যকে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। তাই মানবজাতির ইতিহাসে যাঁকে নিয়ে সর্বাধিক গবেষণা ও চর্চা করা হয়েছে তিনি হলেন, আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। শুধুমাত্র ঈমানদার মুসলমানরাই তাঁর জীবনী ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেছেন তা কিন্তু নয়; বরং বহু অমুসলিম তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে মূল্যবান গবেষণা বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফরাসী লেখক আলফ্রেড দ্য ল্যামারটাইন, বীরযোদ্ধা নেপোলিয়ন বোনাপার্টি, ইংরেজি পাদ্রী বচওয়ারাথ স্মিথ, স্ট্রিফেন, পন্ডিত টয়েনবী, ঐতিহাসিক গিবন, থমাস, কার্লাইল, আলবার্ট জনসন প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ভারতীয় পন্ডিতদের মধ্যেও ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী, স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহরু, স্যার পিসি রাম, স্বামী আহিয়ার, স্বামী বিবেকানন্দ, সবোজনী নাইডু, এনি এ বেচান্ত, বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়, সুশান্ত ভট্টচার্য, এম এন রায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বি এন পান্ডে, স্বামী লক্ষী শংকরাচার্যসহ আরও অনেকে।
মাইকেল এইচ হার্ট ‘The Hundred: A Ranking of the Most Influential Persons In History’ নামের একটি বই প্রকাশ করেন। যাতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রাখেন। তিনি এই বইটিতে- যে সকল ব্যক্তি বিশ্বের মানবজাতির ওপর সবচাইতে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন এমন শ্রেষ্ঠতম একশজন ব্যক্তির জীবন-কর্ম সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। এ গ্রন্থখানায় তিনি আইজ্যাক নিউটন অশক, এরিস্টটল, গৌতমবুদ্ধ, কনফুসিয়াশ, যীশু, হিটলার, প্লেটো এবং মহাত্মা গান্ধীসহ বিশ্বের বরেণ্য ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি শুধু এই একশ’ জনের তালিকা করেই তার দায়িত্ব পালন শেষ করেননি। বরং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাঁদের জীবন তথা কর্মের উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ একত্রিত করে তার যথার্থ মূল্যায়নও করেছেন এবং সেই দিক থেকে যাকে যেভাবে পরিচিতি করা প্রয়োজন ঠিক তাই করেছেন। [‘The Hundred: A Ranking of the Most Influential Persons In History’ New York, 1978, p. 33]
মাইকেল এইচ হার্ট বলেন, মুহাম্মদকে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দেয়াটা অনেক পাঠককে আশ্চর্যান্বিত করতে পারে এবং অন্যদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে, কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সেকুলার এবং ধর্মীয় উভয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ সফল ছিলেন। সম্ভবত ইসলামের ওপর মুহাম্মদের তুলনামূলক প্রভাব খ্রিস্টান ধর্মের ওপর যিশু ও সেইন্ট পলের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়ে বেশি। আমি মনে করি, ধর্মীয় ও সেকুলার উভয়ক্ষেত্রে প্রভাবের এই বিরল সমন্বয় যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই মুহাম্মদকে মানবেতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত করেছে। (Michael H. Hart in ‘The 100, A Ranking of the Most Influential Persons In History,’ New York, 1978.)
‘ফাদার অব আমেরিকান লিটারেচার’ নামে পরিচিত বিখ্যাত লেখক Washington Irving তাঁর ঐতিহাসিক গ্রন্থ Muhammad -এর ২০ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “একজন মানুষের পরিপূর্ণ সৎ ও পুণ্যবান হতে যতগুলো গুণে গুণান্বিত হতে হয় মহান প্রভু তাঁর মাঝে এর সবকটি গুণের সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন। তিনি এতটাই বিশুদ্ধ ও নির্মল প্রকৃতির অধিকারী ছিলেন যে স্বাভাবিকভাবে তিনি সবার কাছে ‘আল-আমিন’ নামে পরিচিত ছিলেন। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস যা বিচারের ক্ষেত্রে তাঁর মাঝে স্থিতি লাভ করেছিল আর তাঁর নম্রতা তাঁকে বরাবরই তর্ক-বিতর্ক সালিসির ক্ষেত্রে বিচারক ও মীমাংসাকারীর আসনে সমাসীন করেছিল।” (Washington Irving: Muhammad. P- 20)
মি. ইরভিং তাঁর গ্রন্থের ১৯২ ও ১৯৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলি ছিল নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর ও অতিমানবীয়। তাঁর ছিল দ্রুত উপলব্ধি করার সক্ষমতা, তেজস্বী স্মৃতিশক্তি, এক জীবন্ত ও প্রাণবন্ত কল্পনাশক্তি আর সৃজনশীল জেনিয়াস…।
আধুনিক ভারতের জনক Mahatma Gandhi বলেন, আমি জীবনগুলোর মধ্যে সেরা একজনের জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম যিনি আজ লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ে অবিতর্কিতভাবে স্থান নিয়ে আছেন, যেকোন সময়ের চেয়ে আমি বেশি নিশ্চিত যে ইসলাম তরবারির মাধ্যমে সেইসব দিনগুলোতে মানুষের জীবন-ধারণ পদ্ধতিতে স্থান করে নেয়নি। ইসলামের প্রসারের কারণ হিসেবে কাজ করেছে নবীর দৃঢ় সরলতা, নিজেকে মূল্যহীন প্রতিভাত করা, ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক ভাবনা, বন্ধু ও অনুসারীদের জন্য নিজেকে চরমভাবে উৎসর্গ করা, তাঁর অটল সাহস, ভয়হীনতা, ঈশ্বর এবং তাঁর (নবীর) ওপর অর্পিত দায়িত্বে অসীম বিশ্বাস। এ সব-ই মুসলমানদেরকে সকল বাধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। যখন আমি মুহাম্মদের জীবনীর ২য় খন্ড বন্ধ করলাম তখন আমি খুব দুঃখিত ছিলাম যে এই মহান মানুষটি সম্পর্কে আমার পড়ার আর কিছু বাকি থাকলো না।
(Mahatma Gandhi, statement published in Young India, 1924.)
Dr. William Draper বলেন, জাস্টিনিয়ানের মৃত্যুর চার বছর পর, ৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে আরবে একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করেন, যিনি সকলের চাইতে মানবজাতির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। অনেক সাম্রাজ্যের ধর্মীয় প্রধান হওয়া, মানবজাতির এক-তৃতীয়াংশের প্রাত্যহিক জীবনের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করা- এসবকিছুই সৃষ্টিকর্তার দূত হিসেবে তাঁর উপাধির যথার্থতা প্রমাণ করে। (Dr. William Draper in ‘History of Intellectual Development of Europe.’)
D. G. Hogarth বলেন, তাঁর দৈনন্দিন প্রতিটি আচার-আচরণ একটি অনুশাসনের সৃষ্টি করেছে যা লক্ষ-কোটি মানুষ বর্তমানকালেও সচেতনতার সাথে মেনে চলে। মানবজাতির কোন অংশ কর্তৃক আদর্শ বলে বিবেচিত আর কোন মানুষকেই মুহাম্মদের মতো এতো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করা হয়নি। খ্রিস্টধর্মের প্রতিষ্ঠাতার আচার-আচরণ তাঁর অনুসারীদের জীবন-যাপনকে নিয়ন্ত্রণ করেনি। অধিকন্তু, কোন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাই মুসলমানদের নবীর মতো এরকম অনুপম বৈশিষ্ট্য রেখে যায়নি। (D. G. Hogarth in ‘Arabia’)
Gibbon বলেন, মুহাম্মদের মহত্তে¡র ধারণা আড়ম্বরপূর্ণ রাজকীয়তার ধারণাকে অস্বীকার করেছে। গ্রষ্টার বার্তাবাহক পারিবারিক গৃহকর্মে নিবেদিত ছিলেন; তিনি আগুন জ্বালাতেন; ঘর ঝাড়ু দিতেন; ভেড়ার দুধ দোয়াতেন; এবং নিজ হাতে নিজের জুতা ও পোশাক মেরামত করতেন। পাপের প্রায়শ্চিত্তের ধারণা ও বৈরাগ্যবাদকে তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁকে কখনো অযথা দম্ভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি, একজন আরবের সাধারণ খাদ্যই ছিলো তাঁর আহার্য। ( Gibbon in ‘The Decline and Fall of the Roman Empire’ 1823.)
Lane-Pooleবলেন, তিনি যাদেরকে আশ্রয় দিতেন তাদের জন্য ছিলেন সবচেয়ে বিশ্বস্ত রক্ষাকারী, কথাবার্তায় ছিলেন অত্যন্ত মিষ্টভাষী ও নম্র। তাঁকে যারা দেখত তারা শ্রদ্ধায় পূর্ণ হতো; যারাই তাঁর কাছে এসেছিল তাঁকে ভালোবেসেছিল; যারা তাঁর সম্বন্ধে বর্ণনা দিত তারা বলতো, “তাঁর মতো মানুষ আগে বা পরে আমি কখনো দেখিনি।” তিনি ছিলেন অতি স্বল্পভাষী, কিন্তু যখন তিনি কথা বলতেন জোরের সাথে এবং সুচিন্তিতভাবে কথা বলতেন। এবং তিনি যা বলতেন তা কেউ ভুলতে পারতো না। (Lane-Poole in ‘Speeches and Table Talk of the Prophet Muhammad.’)
এর বিপরীতে আমরা দেখি পশ্চিমা বিশ্বে তথা ইউরোপ এবং আমেরিকায় যুগের পর যুগ আমাদের নবীকে খুব খারাপভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যার একমাত্র কারণ হল, ইসলাম ও ইসলামের প্রিয়নবীর প্রতি বিদ্বেষ ও ঘৃণা এবং অজ্ঞতা। কখনো সত্যকে ভেঙ্গে চুরে, কখনো নির্জলা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নির্বোধ পাদ্রীরা বদনাম ছড়িয়েছে আমাদের নবী’র নামে। পরবর্তীতে পশ্চিমাদের ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীরা এসব কুৎসা ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ^জুড়ে। বিষয়টি নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন গত শতাব্দীর খ্যাতিমান গবেষক, এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম মন্টগোমরি ওয়াট। তিনি বলেছেনঃ “মানব ইতিহাসে আর কোনো মহান ব্যক্তিত্বকে পশ্চিমা বিশ্বে এতো বাজেভাবে উপস্থাপন করা হয়নি, যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে মুহাম্মদকে।” [Mohammad At Mecca, Oxford, 1953, p. 52]
টমাস কার্লাইল বলেন: ‘এই লোকটিকে (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘিরে যে মিথ্যাগুলো (পশ্চিমা অপবাদ) পুঞ্জীভূত হয়ে আছে-যার ভালো অর্থ হতে পারে ধর্মান্ধতা, তা আমাদের নিজেদের জন্যই লজ্জাজনক।’ [ঞযড়সধং ঈধৎষুষব রহ ‘’[Thomas Carlyle in ‘’Heroes and Hero Worship and the Heroic in History’ 1840]
জর্জ বার্নার্ড শ বলেন, আমাদের মধ্যযুগীয় পাদ্রিরা হয় অজ্ঞতার কারণে, দুঃখজনক বিদ্বেষের ফলে তাঁর মহান ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর প্রচারিত ইসলাম ধর্মকে কালো অবয়বে উপস্থাপন করেছেন। আমি পূর্ণ দিবাদৃষ্টিতে এ কথা ঘোষণা করতে চাই যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন মানবজাতির পথপ্রদর্শক ও মুক্তিদাতা। বরং আরো স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ও আমি বিশ্বাস করি, তাঁর মতো ব্যক্তির নিকট যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো তবে এর সমস্যাগুলো তিনি এমনভাবে সফলতার সাথে সমাধান করতেন যা বহু প্রতীক্ষিত শান্তি ও সুখ আনয়ন করতো। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে, মুহাম্মদের ধর্মবিশ্বাস আগামী দিনের ইউরোপের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যা ইতোমধ্যে বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্যতা পেতে আরম্ভ করেছে।’ [দ্যা জেনুইন ইসলাম, খন্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৮]
লেখক : বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়
খতীব, মুসাফিরখানা জামে মসজিদ