পূর্বদেশ ডেস্ক
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, দ্রæত রোড়ম্যাপ ঘোষণা করে ডিসেম্বরে নির্বাচন দিন। নির্বাচন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈরি করার অপচেষ্টা করবেন না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের জুলাই বিপ্লব ঘটেছিল গণতন্ত্রের জন্য। নির্বাচন নিয়ে পাঁয়তারা করে কোন সরকারের বিদায় স্বাভাবিকভাবে হয়নি। জনবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র বিরোধী কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়নি। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য গত সতের বছরে বিএনপি’র ১৫৩ নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন, ২২৭৬ নেতা-কর্মী ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন, দেড়লাখ মিথ্যা মামলায় পঞ্চাশ লক্ষ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় খুলশীস্থ গোল্ডেন স্পুন রেস্টুরেন্টের সানাই হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পরিচিতি ও প্রথম সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবের রহমান শামীম আরো বলেন, সাংগঠনিক গতিশীলতা ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে দক্ষিণ জেলা আওতাধীন মেয়াদোত্তীর্ণ সকল উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি সভার সর্বসম্মতিক্রমে বিলুপ্ত করা হলো। তৃণমূল ত্যাগী কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ঘাঁটি। এখানে আগামী নির্বাচনে বিএনপি সকল আসনে জয়লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামীতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি গঠন সম্পন্ন করে জেলা সম্মেলন করা, বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের নাম দিয়ে ভ‚ঁইফোড় সংগঠন, যত্রতত্র দলীয় কার্যালয় স্থাপন এবং যারা দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, জেলা বিএনপির নেতৃত্বে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, উপযুক্ত কারণ ছাড়া যদি যারা সাংগঠনিক কাজে অনুপস্থিত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করার কোনো বিকল্প নেই। পূর্বে গ্রæপিংয়ের কবলে পড়ে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদেরকে অন্তর্ভুক্তি করতে হবে। জনগণের মন জয় করার মাধ্যমে সাংগঠনিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কমিটিতে মূল্যায়ন করছেন। কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করুন। সবাইকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যেতে হবে। সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের অব্যাহত ধারার প্রতি আস্থা রেখে কাজ করতে হবে। সরকারের ভিতরে গণতন্ত্র বিরোধী কিছু লোক বসে আছে। সরকারের কার্যক্রম দেখলে মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়, বিএনপি বিরোধী সরকার।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক আলহাজ মো. ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহব্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, জামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, রেজাউল করিম নেছার ও সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, সদস্য মোস্তাক আহমদ খান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, আমিনুর রহমান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান, শওকত আলম চৌধুরী, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, হাজী রফিকুল আলম, মাস্টার মোহাম্মদ রফিক, রাজীব জাফর চৌধুরী, সাজ্জাদুর রহমান, সরওয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, হাজী মোহাম্মদ ওসমান, জাগির আহমদ, আমিনুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক বেলাল, জসীম উদ্দিন, সালাউদ্দিন চৌধুরী সোহেল, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, মো. ফৌজুল কবির ফজলু, মোহাম্মদ শাহীনুর শাহীন, মোহাম্মদ ইসমাইল, মো. ইখতিয়ার হোসেন ইফতু, খন্দকার হেলাল উদ্দিন সিআইপি, জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, দিল মোহাম্মদ মঞ্জু, এম মনছুর উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সালেহ জহুর, দেলোয়ার আজীম, শাহাদাত হোসেন সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। খবর বিজ্ঞপ্তি।