নিজস্ব প্রতিবেদক
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় দিনের মত সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্ব নিয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার নগরীর বিভিন্ন মোড়ে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তবে প্রথমদিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল বেশি। মোড়ে মোড়ে তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
নগরীর বিভিন্ন মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, কারফিউ বন্ধের প্রথমদিন অল্প যানবাহন চলাচল করলেও গতকাল (বুধবার) স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহন। বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, চকবাজার, নিউ মার্কেট, জামালখান, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছিল যানজট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের প্রচেষ্টায় এসব মোড়ে যানবাহন চলাচলও অনেকটা গতি ফিরে পেয়েছে। এদিকে সকাল থেকে নগরীর কোথাও কোনো ট্রাফিক, পুলিশ বা ব্যারিকেড দেখা যায়নি।
মুরাদপুর মোড়ে শিক্ষার্থী আখি আক্তার বলেন, ট্রাফিকের ভূমিকায় কাজ করা অনেক কষ্টের। ট্রাফিক পুলিশরা সড়কে অনেক কষ্ট করেন, তা এ দুই দিনে বুঝতে পারলাম। এরপরও দেশের হাল ধরতে আমরা সড়কে আছি। ২০১৮ সালের আন্দোলনে আমরা সফল হয়েছিলাম। এবারও আমরা সফল হয়েছি। বর্তমানে পুলিশ নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে কর্মবিরতি পালন করছে, তাই আমরা দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। পুলিশ আবার কাজ শুরু করলে আমরা সড়ক ছেড়ে দিবো। সাধারণ জনগণও আমাদের সহযোগিতা করছেন।