দ্বিতীয় দিনেও লাফ সূচকের, লেনদেনে আরও গতি

5

তুমুল গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর পুঁজিবাজারের উল্লম্ফন বজায় ছিল দ্বিতীয় দিনেও; বেশির ভাগ শেয়ারের দর বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ১৯২ পয়েন্ট। গতকাল বুধবার সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও। দ্বিতীয় দিনের মত সাতশ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে লেনদেন। গত দুই দিনে অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়ায় বাজার মূলধন ফিরে এসেছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মন্দার মধ্যে থাকা পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন পর জেগে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে। দ্বিতীয় দিনের মত বুধবারও বড় মূলধনের কোম্পানির ওপর ভর করে সকাল থেকে টানা বাড়তে থাকে সূচক। এক সময় তা ১২০ পয়েন্ট পেরিয়ে যায় দ্রুতই। খবর বিডিনিউজের
তবে দিনের মাঝামাঝি সময়ে সূচক কমতে থাকলে অনেকে মুনাফা তুলে নিতে শুরু করে। তখন সূচক কমে ৫০ পয়েন্টের নিচে নামে। এরপর আবার কেনার চাপ বাড়লে সূচক ঘুরে দাঁড়ায়। দুই দিনের লেনদেন ও সূচকের উত্থান বলছে, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বুধবার দিনে শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে।
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের দীর্ঘ সময় পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পরের দুই দিনে ডিএসই সূচকে যোগ হল ৩৮৯ পয়েন্ট। এতে তিন মাস আগের অবস্থানে গেছে সূচক। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল ডিএসই প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে। সকালে ৫ হাজার ৪২৬ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করলে ৮ মিনিট পরে তাতে যোগ হয় ১২০ পয়েন্ট। এরপর কিছুটা দর সংশোধনে গিয়ে বাড়তে থাকে লেনদেনের পরিমাণ। বেলা ১১টায় লেনদেন আর বেড়ে গিয়ে সূচক নেমে যায় ৫ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। ক্রয় চাপ বাড়তে থাকলে গতিতে ফেরে সূচকের উত্থান প্রবণতাও। ধীরে ধীরে সেই গতিতে আরও টান লাগে সময় বাড়তে থাকলে। এভাবে লেনদেন শেষ করে বেলা আড়াইটায়। এ সময়ে সূচক কখনও নিচে নামেনি। দিনশেষে লেনদেন হয় ৭৭৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। আগের দিন যা ছিল ৭৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গত তিন মাসের মধ্যে সূচক সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫৯৪ পয়েন্টে উঠেছিল গত ৯ জুলাই। বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় ডিএসইর প্রধান সূচকের সঙ্গে অন্য দুই সূচকও এগিয়ে যায়। আগের দিনের চেয়ে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১৯ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ২২ পয়েন্ট। এদিন শেয়ারদর বেড়েছে ২৬৬টি কোম্পানির, কমেছে ১১৪টিরে এবং আগের দরে লেনদেন শেষ করে ১৬টি।
একদিন বিরতি দিয়ে ফের লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনের প্রায় ১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ অবদান রাখে এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩৩টি কোম্পানি। এরপর ব্যাংক খাতের অংশ ছিল ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। একক কোম্পানি হিসেবে দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ বেড়ছে এসিআই ফরমুলেশনস, আফতাব অটোস ও মুন্নু সিরামিকসের।
দর হারানোর শীর্ষে ছিল ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী পেপার ও সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স।