পূর্বদেশ ডেস্ক
দেশের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এর মধ্যে শহরে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৬ শতাংশ হলেও গ্রামে সেই হার ২০ শতাংশের বেশি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিআইসিসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রোভার্টি অ্যান্ড লাইভলিহুড স্ট্যাটিসটিকস সেলের তৈরি করা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও বিবিএসের যৌথ গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বসবাস বরিশাল বিভাগে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ১৫ দশমিক ২ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগে। ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ হলেও এই সময়ে কমেছে রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে দারিদ্র্যের হার। সবচেয়ে বেশি ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
২০১৭ সালের ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা হলো দৈনিক আয় ২.১৫ ডলার। অর্থাৎ, দৈনিক ২.১৫ ডলারের কম আয় করা মানুষ দরিদ্র বলে গণ্য হবেন।
প্রতিবেদনে দেশজুড়ে বিত্তশালী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিস্তর অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র উঠে এসেছে। দেশে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলোকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার ২০.৩ শতাংশ; শহরাঞ্চলে এই হার ১৬.৫ শতাংশ। এছাড়া, মাদারীপুর জেলায় দেশের সবচেয়ে বেশি ৫৪.৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। অন্যদিকে, নোয়াখালীতে এই হার সবচেয়ে কম। এই জেলায় মাত্র ৬.১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। উপজেলা-ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাদারীপুরের ডাসার দেশের দরিদ্রতম উপজেলা। এখানকার ৬৩.২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র্য। বিবিএসের প্রতিবেদনে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো উঠে এসেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ধনী ও দরিদ্র এলাকাগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক যে বিস্তর বৈষম্য, তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে প্রতিবেদনে।