‘দেশের স্বনির্ভরতা ও টেকসই উন্নয়ন কাঠামো বিনির্মাণে প্রকৌশলী নেতৃত্ব অপরিহার্য’

1

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে দুদিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে গতকাল দুপুরে কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী খান মো. আমিনুর রহমান এর সঞ্চালনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলম আইইবি’র বিভিন্ন কর্মকাÐ, পরিকল্পনা ও প্রকৌশলীদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান (একা. এন্ড এইচআরডি) প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন ও ভাইস-চেয়ারম্যান (এডমিন. প্রফেশ. এন্ড এসডবিøউ) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এই সময় অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রের প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ.এস.এম. নাসিরুদ্দিন চৌধুরী পিইঞ্জ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য-সচিব জাহিদুল করিম কচি, কেন্দ্রের সেন্ট্রাল কাউন্সিল সদস্য প্রকৌশলী মো. নুরুল আলম, প্রকৌশলী মো. দুলাল হোসেন, ইআরসির নির্বাহী ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর, কাউন্সিল সদস্য প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দীন খালেদ, প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম ও সম্মানী সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান এবং জিপিএইচ ইস্পাত এর এজিএম মো. নাজিম উদ্দিন রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলম বলেন, গত পনের বছর প্রকৌশলীরা একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে কাজ করতে গিয়ে চরমভাবে নিস্পেষিত হয়েছেন। বিগত সময়ে আমরা দেখেছি এই প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে দলীয় রাজনীতির যাঁতাকলে পিষ্ঠ করা হয়েছে। রাষ্ট্রশক্তির সহায়তায় পেশীশক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলেছে নিয়োগ, পদোন্নতি এবং নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য। শতশত যোগ্য ও মেধাবী প্রকৌশলীর পদোন্নতি এবং পদায়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে ফ্যাসিবাদী শক্তির সহযোগীরা।
কেন্দ্রের চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচারের শাসনের আমলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচার করা হয়েছে। দলীয় চাপের মুখে প্রকৌশলীদের এ ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত হতে বাধ্য করা হয়েছে। বর্তমানে মুক্ত পরিবেশে প্রকৌশলীরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। কিন্ত আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষে বিদেশী বিশেষজ্ঞ আনয়ন বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি প্রায় সকল প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে অপ্রকৌশলীরা নেতৃত্ব প্রদান করছেন। ফলে, উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা ও সময়ক্ষেপন ঘটে। বিলম্বিত ও আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কারণে দেশের মূল্যবান অর্থের অপচয় ঘটছে। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দেশের প্রাইভেট সেক্টরগুলোকে বিশেষজ্ঞ আনয়নের নামে বিদেশনির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে। অথচ এদেশে অনেক মেধাবী প্রকৌশলী রয়েছেন, যাঁদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি। উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন রুমেন চৌধুরী, মুনির হোসেন, ফারুক ভূইয়া, ইয়াজ উদ্দিন। বিজ্ঞপ্তি