স্বাধীনতার মহান ঘোষক; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৪তম শাহদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়াস্থ শহীদ জিয়ার প্রথম মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, খতমে কোরআন ও দোয়া মাহ্ফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
শহীদ জিয়ার প্রথম সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক ইদ্রিস মিয়া বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে যে, ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে আনতে পারে। আওয়ামী সরকার কর্তৃক কবর দেয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে একমাত্র জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিই নির্বাচনের দাবি তুলছে এবং রাজপথে সোচ্চার রয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার মহান ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে সবসময় সোচ্চার ছিলেন তিনি। অন্যায়ের কাছে কখনও আপোষ করেননি। তার সেই আদর্শকে ধারণ করেই দেশের যেকোনো সংকটকালে গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। তদ্রুপ আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ঘরে ফিরবে না।
এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামি দিনে সাম্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাজ এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সেই আকাঙ্খায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতা জীবন দিয়েছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সুর্নিদিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন। এদেশের গণতন্ত্রকে রুখে দেওয়ার জন্যই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সেদিন জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের তৈরি করা রাষ্ট্রকাঠামো ভিত্তির উপর দেশ দাঁড়িয়ে আছে। জাতীয়তাবাদের আদর্শ হতে জনগণ বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয়নি। জিয়াউর রহমান দেশকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেছেন।
কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, রেজাউল করিম নেছার, সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, সদস্য আমিনুর রহমান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান, শওকত আলম চৌধুরী, এসএম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, হাজী রফিকুল আলম, মাস্টার মোহাম্মদ রফিক, সাজ্জাদুর রহমান, সরওয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, জাগির আহমদ, মোজাম্মেল হক বেলাল, জসীম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক মনজুর আলম তালুকদার, সালাউদ্দিন চৌধুরী সোহেল, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, মো. ফৌজুল কবির ফজলু, মো. ইখতিয়ার হোসেন ইফতু, খন্দকার হেলাল উদ্দিন, জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, দিল মোহাম্মদ মঞ্জু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, এম মনছুর উদ্দিন, সালেহ জহুর, দেলোয়ার আজীম, শাহাদাত হোসেন সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন, জেলা ওলামা দলের আহব্বায়ক মাওলানা মুজিবুর রহমান, সদস্য সচিব জাবের আহমদ, জেলা ছাত্রদল নেতা ইসমাইল বিন মনির ও তারেক রহমান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি