সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের ডাক বিভাগকে আধুনিকায়ন করা জরুরি। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাক পরিষেবা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত। অথচ এই বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখানে লোকবল স্বল্পতার কারণে সঠিক সেবা দিতে পারছেন না। একজন পোস্টম্যানকে দুইজনের কাজ করতে হয়। তাদের বেতন-ভাতাও মানসম্মত নয়। তাই পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা উচিত।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে জিপিও চত্বরে বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারী ইউনিয়নের (শ্রমিকদলের অন্তর্ভুক্ত, রেজি: নং ২১০৪) দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জিপিও’র সিনিয়র পোস্টমাস্টার মুহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম শহীদ ইকবালের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ অতিথি ছিলেন পূর্বাঞ্চল পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ছালেহ আহমেদ, চট্টগ্রামের রিজিওনাল ম্যানেজার মো. তৈয়ব আলী, ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল শরীফ মো. সাইফুল্লাহ।
ডা. শাহাদাত বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেদের স্বার্থ আদায় করেছে। পোস্ট অফিসগুলোকে তাদের দলীয় সংগঠনে পরিণত করেছিল। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কারণে বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা দুর্নীতি ও লুটপাটের সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী সরকারের কোন দোসর যাতে বিএনপির শ্রমিক সংগঠনগুলোতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য সজাগ থাকবে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ষড়যন্ত্রের জালের মধ্যে আটকে গেছে। সেই জাল ছিঁড়ে ফেলতে হলে জনগণের সরকার দরকার। সেই সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এটিই এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। কারণ গত সাত মাসে বাংলাদেশ যেভাবে চলেছে, ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ চলছে না। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসররা দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একটি মহল সংস্কারের নামে নির্বাচনকে আটকে দিয়ে দেশকে ভিন্ন পথে নিয়ে যেতে চায়।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি ও নির্বাচন নিয়ে নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রেখে আগামী নির্বাচনের জন্য সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন পরীক্ষা। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যদি কারও নামে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম খাঁন, সহ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক বদিউল আলম, মনিরুল আলম মোল্লা, মোজাম্মেল হক, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মাঈন উদ্দিন মনি, পারভেজ আলম, ইয়াসিন মিয়া, নুরুল আলম, ইমাম উদ্দিন, মাহাবুব আলম, আবদুল মুনাফ, মো. আলমগীর, সাহাদাত হোসেন, মাঈন উদ্দিন, নরুল আবসার, লিটু দাস, দিদারুল আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি