সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, বিশ্ব আজ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যার মধ্যে অন্যতম হলো প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের দ্রুত গতি। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে আমাদের আরও প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের মাধ্যমেই এই চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব। আপনারা শুধু দক্ষ প্রকৌশলী বা প্রযুক্তিবিদ হিসেবেই নয় বরং সৎ, পেশাদার, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হিসেবেও দেশের সেবা করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এই সভার আয়োজন করে। চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় গ্রেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভ‚ঁইয়া ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এএইচ রাশেদুল হোসেন, মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, চুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান সান্টু, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খান ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ চক্রবর্ত্তী এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের ছাত্র আসহাব লাবিব ও ইইই বিভাগের ২০ ব্যাচের ছাত্রী উম্মে মাবরুরা উমামা।
অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন চুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র প্রকৌশলী এটিএম তানভীর-উল-হাসান তমাল এবং অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়েটিয়ানস ইন অস্ট্রেলিয়া এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. জিএম শফিউল্লাহ।
পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী, ইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রিয়ন্তি পাল টুম্পা ও ইইই বিভাগের প্রভাষক আজমল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। পরে কোরআন তিলাওয়াত করেন চুয়েট এর স্টাফ কোয়াটার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হামিদ উল্লাহ।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। এরপর ২৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। চুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১২৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ২৩ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়। এরপর শিক্ষক-ছাত্র ও কর্মকর্তা বনাম কর্মচারী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি











