দেশীয় জলচর আর শহুরে পাখি কমে যাচ্ছে কেন?

6

বিবিসি বাংলা

এখন আর আগের মতো পাখির ডাকে অনেকের ঘুম ভাঙে না। ডালে ডালে শোনা যায় না ময়না টিয়ার গান। শাপলা শালুকের পাতায় চড়ে খুনসুটিও কমেছে বক মাছরাঙ্গা কিংবা পানকৌড়ির। দেশ থেকে কী তাহলে পাখি কমে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নে বিস্ময়কর তথ্য দিচ্ছে পাখি গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, গত ৩০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ভয়ঙ্করভাবে কমছে পাখির সংখ্যা।
গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের পাখি জরিপ ও গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইনাম আল হক। পাখি গণনার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘৩০ বছরে পাখি কীভাবে কমেছে সেটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। ৩০ বছর আগে যেখানে একটি হাওর এলাকায় আমরা ৬ লাখ পাখি পেয়েছিলাম। এ বছর একই সময় সেখানে গুনে পেয়েছি মাত্র এক লাখ পাখি’। তিনি বলছেন, এটা শুধু একটা হাওর বা নির্দিষ্ট এলাকার চিত্র না। দেশের এমনও অনেক জলাশয় রয়েছে যেখানে একসময় লক্ষাধিক পাখি দেখা যেতো, এখন সেখানে মাত্র ৪০-৫০টি পাখি পাওয়া যাচ্ছে।
গবেষক ও পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাখি কমছে এশিয়া মহাদেশে। এশিয়ার মধ্যে পাখি কমছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়। আর এর মধ্যেই এই হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে।
জলজ পাখি ছাড়া অন্য পাখি গণনা, জরিপ বা পরিসংখ্যান হয়নি বাংলাদেশে। তবে বেশ কিছু তথ্য ও কারণ উল্লেখ করে তারা বলছেন, দেশে জলজ পাখির পাশাপাশি কমছে শহর ও গ্রামের বনাঞ্চলে থাকা নানা জাতের পাখি।
গবেষকরা বলছেন, অব্যাহত উন্নয়নের ফলে পাখির আবাসস্থল ধংস হয়ে যাওয়া ও কৃষিকাজে রাসায়নিক এবং বিষ ব্যবহারের ফলে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে পাখি।
প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন আইইউসিএন’র কর্মকর্তা ও পাখি বিশেষজ্ঞ সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘গত ২২ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে শুধুমাত্র টাঙ্গুয়ার হাওরেই ৫৯ ভাগ পাখি কমে গেছে’। মূলত হাওর অঞ্চলেই বেশি পাখি দেখা যায়।

দেশে পাখির সংখ্যা কতো?
প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন আইইউসিএন সর্বশেষ পাখি নিয়ে জরিপ করেছে ২০১৫ সালে। সে সময়ের জরিপে বাংলাদেশে ৬৫০ প্রজাতির অস্তিত্ব খুঁজে পায় সংস্থাটি। পাখি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ জামান। তিনি বলেন, ‘ঐ সময় জরিপে আমরাও ছিলাম। তখন ৬৫০ প্রজাতির পাখির অস্তিত্ব আমরা পেয়েছিলাম। তবে আমাদের ধারণা বর্তমানে দেশে ৭০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে’।
গবেষকরা বলছেন, এই ৭০০ প্রজাতির পাখির মধ্যে ২২০-২৩০ প্রজাতি হলো পরিযায়ী পাখি। বাকিগুলো দেশীয় পাখি।
পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক জানান, বাংলাদেশে পাখির প্রজাতি এত কম হলেও সারাবিশ্বে এই সংখ্যা অনেক বেশি। বিশ্বে বর্তমানে ১১ হাজার প্রজাতির পাখি রয়েছে।
গবেষকরা বলছেন বাংলাদেশে ৪৭৭ ধরনের পাখি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০১টি প্রজাতির পাখি বাংলাদেশের ‘আবাসিক’ পাখি। বাকি এবং ১৭৬ প্রজাতি ‘পরিযায়ী’ পাখি।
আইইউসিএন বলছে, এসব পাখির মধ্যে তবে ১০০ বছরের মধ্যে ১৯ প্রজাতির পাখি চিরতরে হারিয়ে গেছে।
পাখির মধ্যে রয়েছে লালমুখ দাগিডানা, সারস, ধূসর মেটে তিতির, বাদা তিতির, বাদি হাঁস, গোলাপি হাঁস, বড় হাড়গিলা বা মদনটাক, ধলাপেট বগ, সাদাফোঁটা গগন রেড, রাজশকুন, দাগি বুক টিয়াঠুঁটি, লালমাথা টিয়াঠুঁটি, গাছ আঁচড়া ও সবুজ ময়ূর।

কী পরিমাণ কমেছে জলচর পাখি?
বাংলাদেশে যেসব প্রজাতির পাখি রয়েছে তার মধ্যে জলচর পাখি রয়েছে ২০০ প্রজাতির। পাখি গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব জলচর পাখি দেশের বেশ কিছু জলাশয়ে ও নির্দিষ্ট এলাকায় থাকে। যে কারণে গবেষণা বা জরিপে এসব পাখির সঠিক কিংবা কাছাকাছি পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। অন্য দেশি পাখিরা ক্ষেত্রে সম্ভব না।
তবে তারা বলছেন, জলজ পাখি যে কমছে সেটা আমরা পরিসংখ্যান দিয়ে যেমন বোঝা যাচ্ছে। অন্যান্য জাতের পাখিও যে কমছে সেটা নানা কারণ দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় ও বোঝা যায়।
সুনামগঞ্জের পাশুয়ার হাওড়ের একটি উদাহরণ দিয়ে পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, ‘পাশুয়ার বিলে আমরা যখন ১৯৯৩-৯৪ সালে পাখি গণনা করেছি তখন এই বিলে ৪ লাখ পাখি পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গিয়ে আমরা পেয়েছি মাত্র ৪০টি পাখি। তিনি বলেন, ‘এই পাখি কমার এই চিত্র এতটাই ভয়ঙ্কর বাংলাদেশের কোনো কোনো জায়গায়। কিন্ত কিভাবে পাখি হারিয়ে যাচ্ছে বা কমে যাচ্ছে সেটা ওখানকার মানুষজনও জানে না’।
পাশেরই বিশাল টাঙ্গুয়ার হাওরের গত ২০ বছরের একটি তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরেন ইনাম আল হক। তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত এলাকা টাঙ্গুয়ার হাওরে ২০০২-০৩ সালে আমি ৫ লাখ পাখি গুনেছি। আর ২০২৪ সালে সেখানে পাখি গুনেছি মাত্র মাত্র ৬০ হাজার’। খবর বিবিসি বাংলার
জলজ পাখি নিয়ে এসব জরিপে বিশেষজ্ঞ দল এটাও দেখেছে মাত্র ২-৩ বছরের ব্যবধানে কোথাও কোথাও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পাখি কমেছে।
ইনাম আল হক বলেন, ‘গত ৩০ বছরের প্রত্যেকটি স্থানের পরিসংখ্যান আছে আমাদের কাছে। সেখান থেকে আমরা বলতে পারি, জলচর পাখি ৩০ বছরে একেবারে তীরের মতো নিচে চলে যাচ্ছে। এই চিত্র অত্যন্ত ভয়ঙ্কর’।
একইভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলা, পটুয়াখালী, শনির হাওরসহ বিভিন্ন বিলে থাকা পাখির সংখ্যা দিন দিন যে কমছে সে সব পরিসংখ্যান উঠে এসেছে গবেষকদের জরিপে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ জামান বলেন, ‘১০ বছর আগেও যে ঢাকা কিংবা সারাদেশে যে পরিমাণ পাখি দেখা যেতো, তা এখন আর দেখা যাচ্ছে না। প্রজাতি বিলুপ্ত না হলেও অনেকাংশেই কমেছে পাখির সংখ্যা’।

হারিয়ে যাচ্ছে শহুরে পাখি
একটা সময় রাজধানী ঢাকায় নিয়মিত পাখির ডাক শোনা যেতো। শহরের আনাচে কানাচে শালিক, কাক, চুড়ুইসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি লক্ষ করা যেতো। কিন্তু এখন আর সেটি দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসস্থান ও খাদ্যের সংকট, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানা কারণে কাকসহ অনেক প্রাণীই ঢাকা শহর থেকে বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। এতে প্রাকৃতিক চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।
রাজধানী ঢাকা শহর থেকে যে পাখি কমছে সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। নেই কোনো গবেষণাও। তবে ঢাকার কাক নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে গবেষকদের কথায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া বলেন, ‘মাত্র দশ বছরের সাথেও যদি আমরা তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে কাকের সংখ্যা কমে গেছে অনেকাংশে। সেই সাথে অন্য পাখির সংখ্যাও কমে গেছে’।
এর মূল কারণ হিসেবে বড় গাছ পালা কেটে আবাস্থল তৈরিসহ নানা কারণকে দুষছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। তবে কোনো কোনো পাখি গবেষকের ধারণা, এভিয়ান ফ্লু বা বার্ড ফ্লু ভাইরাসের কারণে গত কয়েক বছরে রাজধানী ঢাকার অনেক কাক বিলুপ্তির পথে।
গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে এই শহরে কাক যেমন মারা যাচ্ছে। তেমনি খাদ্য ও বাসস্থানের কারণেও অনেক কাক হারিয়ে গেছে শহর থেকে’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামান বলেন, কাক-চিল এসব পাখি বড় বড় পুরনো গাছে বাসা তৈরি করে। কিন্তু এখন তা হারিয়ে গেছে সে কারণে কমছে কাক কিংবা চিল জাতীয় পাখির সংখ্যা।
তবে এ নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। পাখিবিদ ইনাম আল হক বলেন, ‘কাক-চিল এসব পাখি ময়লা খাবার খায়। এখন ঢাকা শহর থেকে বর্জ্য সরিয়ে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কারণে শহরে কাক চিল কম দেখা যাচ্ছে’। তার মতে, আসলে কাকের সংখ্যা কমেনি বরং বাড়তেও পারে।

পাখি কমার কারণ কী?
পাখি গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা যখন বাংলাদেশের পাখি নিয়ে গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করছেন তখন তারা এটাও দেখতে পেয়েছেন শুধু বাংলাদেশ না সারাবিশ্বেই গত কয়েক বছরে কমেছে পাখির সংখ্যা। এবং এই সংখ্যা কমছে গত ৫০ বছর ধরে। এর কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তারা বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন। তবে এ নিয়ে আলাদা আলাদা মতামত রয়েছে গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের।
বার্ডস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশের পাখি জরিপকারী ইনাম আল হক পাখি কমার পেছনে দুটি কারণ চিহ্নিত করেন। তার মতে, এই অঞ্চলে উন্নয়নের ফলে পতিত জমি, জলাধার ও বনাঞ্চল কমেছে। অন্যদিকে, কৃষিকাজে বিষ ও রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে পাখি কমছে দিন দিন।
তিনি বলেন, ‘যত উন্নয়ন হবে মানুষের জমির ওপর চাপ পড়বে। জমি নিয়ে নিলে পাখির আবাস কমবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া, আমরা বিষ প্রয়োগ করে ফসল ফলাচ্ছি, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করছি তাতে পাখিরাও উৎখাত হয়ে যাচ্ছে’।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে বর্তমানে দেশি হাঁস পালন শুরু হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে। অন্যদিকে গো চারণভ‚মি হিসেবে হাওর অঞ্চলকে ব্যবহার করার প্রভাব পড়ছে পাখির ওপর।
আইইউসিএন’র কর্মকর্তা দীপু বলেন, ‘আমাদের দেশে জলাভ‚মির গভীরতা কমছে, জলাশয়ের মাছ ধরার প্রবণতা বেড়েছে; এসব কারণে পাখি কমে যাচ্ছে দিনে দিনে’।
জলজ পাখি ছাড়াও বনাঞ্চল ও শহরের পাখি কমার জন্য বেশ কিছু কারণকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, গাছ ও বনাঞ্চল কমে যাওয়ার কারণেও কমছে পাখির সংখ্যা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামান বলেন, ‘আমাদের দেশে গাছ কমে যাচ্ছে। অনেক পাখি বড় বড় গাছে বাসা বাঁধত সেগুলো এখন আর নেই। কেটে ফেলা হচ্ছে। যে কারণে পাখির সংখ্যা কমছে’।

বেড়েছে ঘুঘু-দোয়েল
দীর্ঘকাল থেকে বাংলাদেশের মফস্বল শহর কিংবা লোকালয়ে সবচেয়ে যে পাখি পাখিটি বেশি দেখা যেতো তা হল ঘুঘু। একই সাথে ঘরের আশপাশ বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় ঘুরে বেড়াতো দোয়েল আর চড়ুই।
পাখি বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, গত ৫০ বছর আগেও এই পাখিগুলোর বিচরণ বাড়লেও গত ৩০ বছর আগে থেকে তারা দেখেছেন যে ঘুঘু কিংবা দোয়েল পাখি দিন দিন কমছে। এর মূল কারণ হিসেবে তারা দায়ী করেন পাখি শিকারকে।
পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে পাখি শিকার হতো হরহামেশা। কিন্তু সেটি বন্ধ হওয়ার পর এখন ঘুঘু পাখি পাখি বেড়েছে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তিনি।
গবেষকরা বলছেন, সাধারণত পাখি শিকারে এয়ারগান ও রাইফেল ব্যবহার করা হতো। কিন্তু একটা সময় গুলির দাম বেড়ে যাওয়া অন্য সব বন্দুক বন্ধ হয়ে যায়। তখন গুলির দাম কম হওয়ায় পাখি শিকারিরা এয়ারগান ব্যবহার করতো।
বার্ডস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলেন, ঘুঘু লোকালয়ে চলাচল করতো, এরা মানুষকে বেশি ভয় পেতো না। এ কারণে অনেকেই এয়ারগান দিয়ে ঘুঘু শিকার করতো। এ কারণে গত কয়েক বছর আগেও আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায় ঘুঘুর সংখ্যা’। তিনি জানান, এটি নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করে। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে এয়ারগান ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আসে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে পাখি শিকার বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। এর কারণেই এ কারণেই ধীরে ধীরে বেড়েছে ঘুঘু পাখির সংখ্যা। সেই সাথে দোয়েল-কোয়েলসহ অন্যান্য কিছু দেশি পাখির সংখ্যাও বাড়ছে বলেও জানান বাংলাদেশের এই পাখিবিদ।