রশীদ এনাম
আমার কাছে জ্যোতির্ময় শিক্ষক মানে দ্বিতীয় জন্মদাতা এবং বাতিঘর। সমাজের সবচেয়ে উচুকাতারের মানুষ এবং সম্মানি ব্যক্তি। কীর্তিমান মানুষদের হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা করতে হয় ভালোবাসতে হয় পিতামাতার মতো। আমার খুব কাছের প্রতিবেশী ও বহুমুখি জ্ঞানের অধিকারী লেখক গবেষক, সুফিসাধক গারাংগিয়া বড় হুজুরের সুহবত যিনি পেয়েছেন। জ্ঞানতাপস অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল আলম।
জন্মকথা : মুহাম্মদ নুরুল আলম ১৯৫২ সালে ৩০ জুন পটিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মির্জা বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আলী আহমদ ও মাতা মোহছেনা খাতুন। প্রফেসর আলম ছিলেন পিতামাতার ২য় সন্তান।
শিক্ষাজীবন : মুহাম্মদ নুরুল আলম ১৯৬৭ সালে এ.এস. রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন এবং ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম সরকারী বাণিজ্য কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৭৩ সালে বি.কম (সম্মান) পাশ করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ হতে কৃতিত্বের সাথে এম.কম পাশ করেন।
পারিবারিক জীবন ঃ- ১৯৮১ সালে প্রফেসর আলম সাহেব পটিয়া হুলাইন গ্রামের মেজিস্ট্রেট নাজির হোসেন চৌধুরীর কন্যা নার্গিস আরা বেগম কে শাদি করেন। নুরুল আলমের চারকন্যা কন্যা। সবাই কানাডা প্রবাসী। ফৌজিয়া নূর পেশায় একজন আইনজীবি, ২য় কন্যা সাফিয়া নূর বায়োক্যামিস্ট, ইবতেসাম নূর- ক্যামিকেল প্রকৌশলী, ছোট কন্যা নূরুল আইন নূর ব্যারিষ্টার।
কর্মজীবন : মুহাম্মদ নুরুল আলম ১৯৭৬-৭৭ সালে পটিয়া সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে অধ্যাপনা করেন। ১৯৭৮-৭৯ সালে তিনি ঢাকা মতিঝিল টিএন্ডটি কলেজে হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন পাশাপাশি তিনি রহমান এন্ড কোং সিএ ফার্মে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউ এনডিপি এর অধীনে শিক্ষকতার কাজ নিয়ে OE Lecturer in Accounting & Finance হিসেবে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে Kenya Institute of Administration নামক প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত তিনি কেনিয়ার জাতিসংঘের অধীনে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রামের চাটার্ড একাউন্টেট ফার্ম, নাসির মোহাম্মদ এন্ড কোং থেকে কোর্স সম্পন্ন করে সনদ গ্রহণ করেন।
প্রফেসর ডক্টর আলম যিনি প্রথম বাংলাদেশী Scandinavian দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে Islamic Bank এর উপর গবেষণা করেন। ২০০২ সালে ২৪ অক্টোবর তিনি সুইডেনের প্রখ্যাতLund Universityথেকে PHD ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে Business Administrationবিভাগে অধ্যায়নরত ছিলেন। Phd. Thesis title-Finance of Small and Cottage Industries in Bangaldesh by Islamic Banks An Institutional Network Apprach..
তিনি কানাডায়িন ইউনিভার্সিটি অব দুবাই, এবং জাকার্তার ত্রিসক্তিবিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শক শিক্ষক হিসেবে পিএইচডিগ্রি অধ্যায়নরত ছাত্রদের পাঠ দিতেন। তিনি দীর্ঘদিন সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন এবং পোলান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলন এ বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাঁর গবেষণামুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে কানাডার Mississuga শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বর্তমানে তিনি ইয়র্কভিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
সুহবতে গারাংগিয়া : ১৯৭৯ সালের দিকে হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রাঃ) ডক্টর আলম সাহেবকে তরিকায়ে মোজাদ্দেদীয়া এবং পরবর্তীতে কেনিয়া থেকে দেশে ফেরার পর আটটি তরিকায় খেলাফত লাভ করেন। ১৯৮৭-৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি তৎকালীন গাজিপুরের (বর্তমান কুষ্টিয়া-ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৭ সালে জানুয়ারির দিকে তিনি রহমান রহমান এন্ড কোঃ ফার্ম থেকে ১৯৭৮ সালে সি এ কোর্স সম্পন্ন করে তিনি গাজীপুর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্য তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। অধ্যায়নকালীন সুইডিশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে সাউদিয়া আরব, কুয়েত, সুইডেন, তুর্কি, সাইপ্রাস, ইউকে, আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান, পোলান্ড, মালেশিয়া, আফ্রিকা,কেনিয়াসহ আরো অনেক দেশ সফর করে গবেষণা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করেন। বিশ্বে প্রায় ৪০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন। শিক্ষকতা গভেষনা ও অধ্যাপনার পাশাপাশি ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। উল্লেখযোগ্য তিনি চট্টগ্রাম সরকারী বাণিজ্য কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাতকানিয়াস্থ গারাঙ্গিয়ার আল মোজাদ্দেদিয়া তরিকতের বড় হুজুর হযরত মাওলানা আবদুল মজিদ (রাঃ) এর হাতে বায়াত হন। বড় হুজুর ও ছোট হুজুর আবদুর রশীদ (রাঃ) উভয়ে প্রফেসর আলম সাহেবকে সন্তানের মতো স্নেহ করতেন। ১৯৮৭ সালে কুয়েতের তৎকালীন মন্ত্রী সৈয়দ ইউসুফ হালিম আল রেফায়ী হুজুরের সাক্ষাত লাভ করেন। তিনি তাঁকে পুত্রের মতো স্নেহ করে দোয়া করতেন। ড. আলম আফগানিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক সিবাগত উলা মোজাদ্দেদীর খুব কাছের মানুষ ছিলেন। যিনি কিনা হযরত ইমাম রব্বানী মোজাদ্দেদী আলফেসানী শাইয়ক আহমেদ ফারুক ছারহিন্দ (রাঃ) এর তৃতীয় প্রজন্ম ছিলেন। আধুনিক ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও তিনি গারাঙ্গীয়া বড় হুজুর ও ছোট হুজুর কেবলার অত্যন্ত স্নেহের একজন শিষ্য ছিলেন।
বর্তমানে মোজাদ্দেদিয়া তরিকতের একজন সুফিসাধকও বলা যায়। তিনি রেফায়ী তরিকারও ধারক কুয়েতের প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ ইউসুফ হাশেম আল রিফাই হুজুর কর্তৃক ১৯৮৯ সালে খেলাফত প্রাপ্ত হন। হুজুরের সাথে তরিকতের কাজে আমেরিকা, ইংল্যান্ড,ডেনমার্ক, নরওয়ে, আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া, আইসল্যান্ড সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ইসলামিক কনফারেন্সে যোগদান করেছেন। ইসলাম প্রচার করেছেন, ড. আলমের আদর্শ দেখে, অনেক খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি লিবিয়ার প্রেসিডেন্টের দাওয়াতে আন্তর্জাতিক ইসলামিক কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কানাডার টরেন্টো নগরীর Islam in Dialogue Spiritual Leader হিসেবে কাজ করছেন। এ সংস্থা পৃথিবীর অনেক দেশে তরিকতের কাজ সম্প্রসারণে নিয়োজিত। কলেজ জীবনে আমি তাঁর হাতে প্রথম বায়াত হয়েছিলাম। যেদিন ওনাকে প্রথম দেখি আমার মনে হচ্ছিল, ওনার চেহারা মোবারক থেকে নুর ভেসে আসছে। মাশাআল্লাহ এত বিনয়ী এতো সুন্দর হয় মানুষ। আলম চাচা নম্র বিনয়ী ও মিষ্টভাষী মানুষ। তাঁর আদর্শ আমাকে মুগ্ধ করে।
হিসাববিশারদ ডক্টর নূরুল আলমের কীর্তি ও প্রকাশনা : মোজাদ্দেদিয়া তরিকতের জন্য মিশন আল নুরের মাধ্যমে তিনি সবসময় ভালো কাজ করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সুহবতে গারাংগিয়া ১ম খন্ড ও ২য় খন্ড, ইসলামিক ব্যাংকিং রিভা এবং ফাইনান্সিয়াল প্র্যাকটিস, রহমতে ইলাহি, কেনিয়ার সেকেনকের ইসরাম কবুল, বাইতুল্লার মুসাফির, এক আইসল্যান্ডিক পার্লমেন্ট সেক্রেটারির জীবনের গল্প। জার্মানীর Lap Lambert Publications থেকে Empowering Small Entrepreneurs By Islamic Banks নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
আমার অনুভূতিতে প্রফেসর ডক্টর নূরুল আলম চাচা।
ছোটবেলা থেকে দেখতাম তিনি কানাডা থেকে দেশে আসলে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকতেন, কবরস্তানে এসে বাবা-মায়ের জন্য দু হাত তুলে অজোড়ে কান্নাকাটি করে দোয়া করতেন। আলম চাচার মা ভক্তি ছিল। মায়ের দোয়া নিয়ে তিনি আজ পুরো বিশ্বে আলো ছড়াচ্ছেন।
১৯৯৯ সালের দিকের কথা ওয়েল গ্রুপের সত্বাধিকারী আবদুস সালাম সাহেবের বাসায় সন্ধ্যা বেলা মাহফিলে গিয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধু বোরহানসহ অবাক হয়েছি! চট্টগ্রাম সরকারী বাণিজ্য কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন হিন্দু অধ্যক্ষ। তারই প্রিয় ছাত্র প্রফেসর ডঃ নুরুল আলমকে দেখতে চলে এসেছেন। অধ্যক্ষের কাছে তাঁর ছাত্র ডক্টর আলম কত না স্নেহভাজন প্রিয় ছিলেন। অধ্যক্ষ সাহেব আলম চাচাকে বুকে জড়িয়ে ধরে দোয়া করলেন। আলম চাচা বলেন, কমার্স কলেজে যখন অধ্যায়নরত অবস্থায় প্রথম যেদিন দাড়ি রেখেছিলেন, কলেজের এক অধ্যাপক তাঁকে ভুল করে সালাম দিয়ে ফেললেন। আলম সাহেব তখন খুব লজ্জা অনুভব করলেন। নম্র হয়ে স্যাার কে বললেন, স্যাার আপনি আমাকে কেন সালাম দিলেন আমি তো খুব লজ্জা পাচ্ছি কেন আমি আপনাকে আগে সালাম দিতে পারিনি ? স্যার বললেন “ প্রিয় আলম আমি আসলে তোমার যে আদর্শ প্রিয় নবীজি হুজুর পাক (সাঃ) প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি নিজেকে সংযত রাখতে পারিনি বলে স্যার আলম চাচাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।
আমি যখন ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজে হিসাব বিজ্ঞান (সম্মান)বিষয়ে অধ্যায়ন করছিলাম। তখন তাঁর সাথেদেখা হয়েছিল। আমাকে ভালোভাবে পড়াশুনা করার জন্য উপদেশ ও উৎসাহ অনুপ্রেরণা দিলেন। তিনি শুধু শুধু একজন আলোকিত মানুষগড়ার কারিগর বা হিসাববিদ নন একজন শিক্ষকের আদর্শ। সৎ ও মহৎ ও ভালোমানুষের আদর্শ ।
দেশের একজন কীর্তিমান আদর্শ, বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে পুরো বিশ্বে। সুফিসাধক, সহজ সরল খুব বিনয়ী এই গুণি মানুষটি একজন পথ প্রদর্শকও বটে। ছাত্র জীবনে তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও ছিলেন। একাত্তরে গাজী আবদুস ছবুর শহীদ হওয়ার পর, ১৯৭২ সালে পটিয়া মুন্সেফবাজারে সহপাঠী ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে, “অগ্রপথিক সংঘ ও শহীদ গাজী আবদুস ছবুর স্মৃতি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পাঠাগারটির সভাপতি ছিলেন। ড. নুরুল আলম চাচা বলেন, “লাখো শহীদের একজন আমাদের স্নেহভাজন শহীদ গাজী আবদুস ছবুর। মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে যার অবদান কিছুতে ভুলতে পারব না। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি পটিয়া কেলিশহর এলাকায় শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর অকাল মৃত্যু ছিল আমাদের জন্য বড় বেদনাদায়ক। দেশমাতৃকার স্বাধীনতার মুকুট ছিনিয়ে আনার জন্য গাজী আবদুস ছবুর ’৭১ সালে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে সবসময় দেখতাম সদা বিনয়ী ও হাস্যময়। একরাশ শ্রদ্ধাভরা ছিল তাঁর অবয়ব। তাঁর সহজ সরল ও সাবলীল আর অমায়িক আচরণ সকলকে মুগ্ধ করত। আমাদের পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সকলের প্রিয় ও গৌরব শহীদ আবদুস ছবুর। তাঁকে হারিয়ে এত বেশি শোকাবহ ছিলাম যে, তাঁর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে ও তাঁকে আগত প্রজন্মের জন্য চির জাগরুক রাখতে আমি তৎকালীন সময়ে অগ্রপথিক সংঘের সকল কার্যকরী সদস্যদের নিয়ে শহীদ গাজী আবদুস ছবুর স্মৃতি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করি। সময় দ্রুত এগিয়ে চলে, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর পেরিয়ে। সমসাথীদের অনেকে আজ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। অগণন স্মৃতির আগমনে অনেক পুরনো স্মৃতি মনের পর্দা থেকে বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু এতদিন পরেও এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারি না সদা হাস্যময় বিনয়ের অবতার প্রিয় শহীদ গাজী আবদুস ছবুরকে। পরম করুণাময় তাঁর আত্মাকে দান করুক অপার শান্তি ও পরপারে পুরস্কৃত করুক জান্নাতুল ফেরদৌস”। প্রফেরসর ডক্টর নুরুল আলম একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও বটে। তাঁর হৃদয় জুড়ে ছিল দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকও বটে।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে সুহবত কি ? সুহবত আরবী শব্দ যার অর্থ সান্নিধ্য,সংস্পর্শ,। ড. মুহাম্মদ নুরুল আলম গারাংগিয়া দরবার শরিফের বড়ো হুজুরের সান্নিধ্য পেয়েছেন। আমার দেখা তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় হিসাববিদ হিসেবে পুরো বিশে^র অগনতি ছাত্র-ছাত্রীদের আলোকিত করে চলেছেন এবং পাশাপাশি তিনি মিশন আল নূরের মাধ্যেমে মোজ্জাদ্দেদিয়া তরিকতের আলো ছড়াচ্ছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা ডক্টর মুহাম্মদ নুরুল আলম চাচার হায়াত ও রিযিকের বরকত দান করুক-আমিন।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সমন্বয় সহকারি,
ইতিহাসের খসড়া