দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে

7

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও উপাসনালয়গুলোতে হামলার অপচেষ্টা করে, বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হলেও ভিন দেশীয় ইন্ধনে তাদের প্রেতাত্মা ও দোসররা নানারকম চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে দায়ী করার ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।তিনি গতকাল শনিবার মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কাতালগঞ্জ নবপন্ডিত বৌদ্ধ বিহার, করুনাময়ী কালী বাড়ি ও রাধামাধব মন্দির পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
এ সময় নেতৃবৃন্দ নবপন্ডিত বিহারের অধ্যক্ষ ড. উপানন্দ মহাথের, রাধামাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণ দাস গুপ্ত ভানু ও করুনাময়ী কালী বাড়ি মন্দিরের বিপ্লব চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নিরাপত্তার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। নেতৃবৃন্দ ভিন্ন ধর্মালম্বীদের মন্দির, বিহার ও বাসাবাড়ি এবং বিরোধীমতের সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান।
এ সময় মীর হেলাল বলেন, সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুবই প্রয়োজন। এখন সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, এমন কোন কাজ কেউ করতে পারবে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।
এরশাদ উল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। সেই বিজয়কে ধরে রাখার জন্য সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তাবলয় তৈরি করতে হবে। আমাদের পাশে যারা সংখ্যালঘু রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নাজিমুর রহমান বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করেছে একটি চক্র। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, নবপন্ডিত বিহারের অধ্যক্ষ ড. উপানন্দ মহাথের, তরুণ দাস গুপ্ত ভানু, বিপ্লব চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব ধর তমাল, মহানগর আহবায়ক অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, সদস্য সচিব বাপ্পী দে, যুগ্ম আহবায়ক সুজন দাস, রিপন দাশ, জীবন মিত্র, সুকান্ত মজুমদার, মহানগর বিএনপি নেতা সিহাব উদ্দিন মোবিন, শওকত আজম খাজা, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মো. ইদ্রিস আলী, এম এ হালিম বাবলু, জাফর আহমেদ, আসিফ চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম শিপু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি