দুর্ভোগ থেকে রেহায় পেল ৬ উপজেলার লঞ্চযাত্রীরা

119

দুর্ভোগ থেকে রেহায় পেল রাঙামাটি জেলার ৬ উপজেলার লঞ্চ যাত্রীরা। নৌ পথের যান বাহন চলাচলে স্বস্তি পেল ওই সব উপজেলার লোকজন। প্রাণ খুলে আনন্দের সাথে থৈ থৈ পানিতে লঞ্চ ও নৌকা দিয়ে ভ্রমণ করছে তারা। অনেক দিন পর যৌবন ফিরে পেয়েছে কাপ্তাই হ্রদ। সম্প্রতি টানা ও ভারী বর্ষণে জেলার ১০উপজেলায় কমবেশী পানি হয়েছে। তারই ধারা বাহিকতায় এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহত্তর কাপ্তাই হ্রদেও পানিতে ভরে গেছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়াতে যেমন সুবিধা হয়েছে লঞ্চ মালিকদের তেমনি সুবিধা হয়েছে গাছ ব্যবসায়িদের। সব কিছু মিলে নৌপথের যোগাযোগ অনেকটা উন্নতি হয়েছে। রাঙামাটি সদর উপজেলার সাথে বাঘাইছড়ি, বরকল, লংগদু, নানিয়ারচর, জুরাছড়ি ও বিলাই ছড়িরর সাথে গতকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চ মালিক সমিতির বেঁধে দেওয়া সিডিউয়েল মতে প্রতিদিন শহরের রিজার্ভ বাজার লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। লঞ্চ যাত্রীদের বলেন, যে সব লঞ্চ কাপ্তাই হ্রদে চলে সেগুলো মান্দাতা আমলের লঞ্চ কিন্তু এসব লঞ্চ দিয়ে হচ্ছে যাত্রী সেবা।
সেবার মান বাড়েনি কিন্তু বাড়ছে ভাড়া। লঞ্চগুলো একটা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসলে যাত্রীসেবা আরো বৃদ্ধি পেত। রাঙামাটিতে সব কিছু উন্নত হয়েছে কিন্তু লঞ্চ যাত্রীসেবার উন্নতি হয়নি। আমরা লঞ্চ যাত্রীরা মনে করি প্রশাসনের দুর্বলতা রয়েছে। লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, গত ৬মাস পরে কাপ্তাই হ্রদে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ রাঙামাটির সকল লঞ্চ বন্ধ ছিল।
এখন স্বস্তি ফিরে পেয়েছে লঞ্চ কর্মচারিরা। কিন্ত লঞ্চ এ আগের মত যাত্রী নেই তার কারন অবৈধ ভাবে স্প্রীট বোট চলছে কাপ্তাই হ্রদে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান ধরে আছে। লঞ্চ মালিক সমিতি প্রশাসনকে বলেছিল নিয়মের ভেতরে এনে যেন এসব স্প্রীট বোন চলে। কিন্তু আজও তা করা হচ্ছেনা।