পূর্বদেশ ডেস্ক
টেকনাফ উপজেলা থেকে অপহৃত ২৭ জনের মধ্যে ১৮ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের কোনো হদিস মেলেনি। তবে তাদের উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। অপহরণের দুই দিনেও ওই নয়জনের খোঁজ না মেলায় তাদের স্বজনরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এ ছাড়া অপহরণের একদিন পর বনকর্মীসহ ১৮ জনকে উদ্ধারের ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষে মামলা করা হয়েছে বলে জানান বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা। খবর বিডিনিউজের।
মঙ্গলবার সকালে অস্ত্রের মুখে দুটি অটোরিকশা থামিয়ে আটজনকে অপহরণ করা হয়। এ ছাড়া সোমবার রাতে নিজ দোকান থেকে অপহরণ করা হয় জসিম উদ্দিনকে।
গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত অপহৃতদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানান টেকনাফের শামলাপুরে অটোরিকশা পরিবহনের লাইনম্যান মো. আবদুর রহিম।
পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পাহাড়ে অভিযানে আছি।
আবদুর রহিম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হোয়াইক্যং-বাহারছড়ার শামলাপুর সড়কে অস্ত্রের মুখে দুটি অটোরিকশা থামায় অপহরণকারীরা। এরপর চালকসহ আটজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ১৫ থেকে ২০টি ফাঁকা গুলি করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তার মাথা এলাকায় নিজ দোকান থেকে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে গহিন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তার কোনো ধরনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া মুক্তিপণ দাবি করে ফোনও করা হয়নি। এতে করে তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এর আগে সোমবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া পাহাড়ে বনবিভাগের জমিতে গাছের চারা রোপণ করতে গিয়ে বনকর্মীসহ ১৮ জনকে অপহরণ করা হয়। রাতে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীদের পরিবারে ফোন করে। পরে মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
অভিযানে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেন।
সদ্য বিদায়ী বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮১ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।