পূর্বদেশ ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারে সাবেক দুই সহকর্মী আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন দলের আহব্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে তার সমর্থকদের বিক্ষোভ থেকে এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এরপর বিএনপির একাধিক নেতাও একই দাবি জানিয়ে আসছেন। ইশরাক নিজেও দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে এনসিপির আহব্বায়ক নাহিদ বলেন, ওই দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময় তারা সরকারে গিয়েছিলেন, আমিও গিয়েছিলাম।
প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে গতবছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা দুই ছাত্র নেতা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
পরে এনসিপির হাল ধরতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টার পদ ছাড়েন নাহিদ। তখন তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন।
আসিফ মাহমুদ বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা। আর নাহিদ ইসলামের রেখে যাওয়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হয়েছেন মাহফুজ আলম। এই দুই উপদেষ্টার রাজনীতিতে আসা, না আসার বিষয়টি তাদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, তারা যদি রাজনীতি করতে চায়, নির্বাচন করতে চায় তাহলে সরকার থেকে বেরিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তাদেরকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে সংযুক্ত করে এক ধরনের অপপ্রচার ও তাদেরকে হেয় করা হচ্ছে।
গণঅভ্যুত্থানে প্রতিনিধি হিসেবে শহীদ পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন, খুনিদের বিচার এবং সংস্কার বাস্তবায়ন করার জন্যই তারা গিয়েছে। ফলে সরকার থেকে তারা কখন বের হবে, কিংবা আদৌ হবে কি না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। এর আগে গণঅধিকার পরিষদও দুই উপদেষ্টার দাবি করেছিল।