বাঁশখালী প্রতিনিধি
বাঁশখালীতে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে সেতুর আদলে দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো। ছনুয়া ইউনিয়নের সেলবনে এই দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেন এলাকার সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ লায়ন আমিরুল হক এমরুল কায়েস। গত সোমবার সাঁকোটি জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, জলকদর খালের উপর ছনুয়া ও রাজাখালীর মানুষের পারাপারে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে এই সাঁকোটি। ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ৩শ ফিট দীর্ঘ এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণের ফলে ছনুয়া ও রাজাখালীর হাজার হাজার মানুষ, পথচারী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী নির্বিঘ্নে চলাচল ও নদী পারাপারের সুযোগ পাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ছনুয়া ইউনিয়নের সাথে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের লোকজনের সহজ যোগাযোগে একমাত্র বাঁধা জলকদর খাল। নৌকা দিয়েই সারাবছর ঝুঁকি নিয়ে লোকজন যাতায়াত করেন। ছনুয়া-রাজাখালী সীমান্তে লোকজনের চলাচলে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ কতটা জরুরি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সবাই এখানে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও কেউ ওয়াদা রক্ষা করেনি। জলকদর খালের ছনুয়া রাজাখালী সীমান্তের এই স্পষ্টে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের। এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাগবে দীর্ঘদিন পর হলেও ব্যক্তি উদ্যোগে লায়ন আমিরুল হক এমরুল কায়েস সাঁকোটি নির্মাণ করে দেওয়ায় এলাকাবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ছানুবী জানান, সাঁকোটি নির্মাণের ফলে এলাকার মানুষের চলাচলে সুবিধা হয়েছে। এতদিন ঝুঁকি নিয়ে অর্থ খরচ করে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার করতে হতো। ছাত্রছাত্রী, লবণচাষী ও সাধারণ মানুষ এতে উপকৃত হবে সবচেয়ে বেশি।
লায়ন আমিরুল হক এমরুল কায়েস জানান, এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাগবে আমি সাঁকোটি নির্মাণ করেছি। একাজে এলাকার মুরুব্বিরা আমাকে উৎসাহিত করেছেন। সাধারণ মানুষের অতি প্রয়োজনীয় কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে ভাল লাগছে।