দীঘিনালা প্রতিনিধি
‘অহিংসা পরম ধর্ম’- গৌতম বুদ্ধের মর্মবাণী ধারণ করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে মাসব্যাপি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দানোত্তম কঠিন চীবরদানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বিনন্দচুগ রাজগুরু অগ্রবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে ২০তম এই কঠিন চীবরদান উদ্যাপিত হয়।
গতকাল সোমবার সকালে বিনন্দচুগ রাজগুরু অগ্রবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে পরিচালনা কমিটির ও দায়ক-দায়িকা উপাসক-উপাসিকাদের আয়োজনে স্বদ্ধর্ম আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ দীঘিনালা উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা প্রধান, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ সহ-অর্থ সচিব ভদন্ত সুমনা নন্দ মহাথের, ধ্যানমতি মহাথের, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা। ধর্মীয় দেশনায় ভিক্ষুরা বলেন, অহিংসা পরম ধর্ম গৌতম বুদ্ধের বাণী অন্তরে ধারণ করে হিংসাবিদ্বেষ ভুলে সকলকে আপন করে নিতে হবে। তাহলে সমাজে কোনো অন্যায় থাকবে না। সকলের মাঝে শান্তি-স¤প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি হবে। এতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব কঠিন চীবরদান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সকল স¤প্রদায়ের সহযোগিতার জন্য তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এতে করে সা¤প্রদায়িক-স¤প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, দীঘিনালা উপজেলায় এবছর ৩৮টি বৌদ্ধ বিহার ও ১০টি বনবিহারে কঠিন চীবরদান উৎসব উদ্যাপিত হয়।











