দীঘিনালা প্রতিনিধি
জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে আস্থা প্রকল্পের আওতায় গঠিত খাগড়াছড়ি দীঘিনালা ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় আইইসি(ইনফরমেশন, এডুকেশন এবং কমিউনিকেশন) উপকরণ বিতরণ এবং জনসমাগম এলাকায় পোস্টারিং কার্যক্রম শুরু করেছে। সপ্তাহব্যাপী এ জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ্রুপের আহবায়ক হাসান মোর্শেদ রিফাত।
ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভাগ হয়ে জনগণকে এ উপকরণ বিতরণ এবং রাস্তার ধারের দেওয়ালগুলোতে পোস্টারিং করেছে।
ইয়ুথ গ্রুপের আহবায়ক হাসান মোর্শেদ রিফাত জানান, আস্থা প্রকল্প গত প্রায় দুই বছর যাবৎ জনগণকে তাদের অধিকার বিষয়ে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ প্রচারাভিযান কার্যক্রম চলছে। এ কার্যক্রমে ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োজিত হয়ে কাজ করছে।
প্রকল্পের ফিল্ড এসোসিয়েট পপেন ত্রিপুরা জানান, আস্থা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি সংবেদনশীল সমাজ বিনির্মাণে সরকারকে সহযোগিতা করা। আর এর জন্য মূলধারার জনগোষ্ঠীকেও আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় অন্তর্ভূক্তিকরণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় অন্তর্ভূক্ত করা না গেলে সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা পাবে না এবং গণতন্ত্রায়ন হবে না।
টিমে অন্যদর মধ্যে রয়েছে- যুগ্ম আহবায়ক হিল্টন চাকমা, সদস্য দুর্জয় বড়ুয়া, সদস্য মনির হোসেন, সদস্য তরিকুল ইসলাম ফাহিম, সদস্য দলিনা ত্রিপুরা, সদস্য মেমোরি চাকমা, রেমি চাকমা, সুমা রানী নাথ, জাকির হোসেন, অনির্বান জ্যোতি চাকমা, আবৃত্তি চাকমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের অর্থায়নে খাগড়াছড়ির স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা(টিইউএস)’ ২০২৩ সাল থেকে তিন বছর মেয়াদি ‘আস্থা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প জেলার নয়টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য হলো- জ্যেষ্ঠ নাগরিক ও যুব সমাজের মধ্যে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজে মানবাধিকার, ন্যায্যতা ও গণতন্ত্র চর্চা করে একটি সংবেদনশীল সমাজ বিনির্মাণ করা।