পূর্বদেশ ডেস্ক
আদালতের আদেশের পর জামায়াতে ইসলামীকে আবার রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত করেছে নির্বাচন কমিশন; সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছে প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর অর্থ দলটি আবার নির্বাচন করার সুযোগ পেল। ২০১৩ সালে আদালত দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রথমে রায় দেয়। এর তিন বছর পর ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘দাঁড়িপাল্লা’ ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ব্যবহৃত হবে এবং কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও দলের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
তারপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে জামায়াতের জন্য বরাদ্দ মার্কা দাঁড়িপাল্লা নির্বাচনি প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ২০১৭ সালের ৮ মার্চ গেজেট জারি করে ইসি। এক যুগ পর গত ১ জুন আপিল বিভাগ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের যে রায় হাই কোর্ট দিয়েছিল তা বাতিল করে দেয়। খবর বিডিনিউজের।
সর্বোচ্চ আদালত ১ জুন আদেশে বলেছিল, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখন নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
আদালতের আদেশের পর জামায়াতের নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোরবানির ঈদের আগে ৪ জুন কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
সভা শেষে সেদিন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পাবে। তবে দলীয় প্রতীকটি ফেরতের ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে।
এর তিন সপ্তাহের মাথায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করল ইসি সচিবালয়। বর্তমানে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৫০টি। আরও অন্তত ১৪৭টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর প্রতীকসহ নিবন্ধন সনদ নেওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বর্তমানে ইসির সংরক্ষিত তালিকায় জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নেই। সেক্ষেত্রে প্রতীকটি বিধিমালায় সংশোধন এনে যুক্ত করতে হবে।