দলের সমঝোতা চাইলেন নতুন সিইসি

21

পূর্বদেশ অনলাইন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, সেজন্য দেশের রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতায়’ আসার আহ্বান জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, “আমরা অনুনয়-বিনয় করব, আপনারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করেন। একটা চুক্তিবদ্ধ হন, যে নির্বাচনটা সুন্দরভাবে পরিচালনা করবেন। ওখানে সহিংসতা থাকবে না। কেউ কাউকে বাধা দেবে না।” শপথ নেওয়ার পরদিন সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এসে দায়িত্ব বুঝে নেন নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। চার নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খানও এ সময় তার পাশে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, “রাজনৈতিক নেতৃত্বের যে দায়িত্বটা রয়েছে, সেটা যদি শেয়ার না করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন এককভাবে যে কাজ করবে সেখানে সীমাবদ্ধতা দেখা দেবে। আমাদের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে আবদার করা, বিনয় করা, অনুনয় করা। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমরা সহযোগিতা করব। “রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা না করে, পলিটিক্যাল লিডারশিপের যদি ন্যূনতম সমঝোতা না থাকে। আমিতো তাদের মুরুব্বি হতে পারব না। উনারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী, অনেক বেশি অভিজ্ঞ।” গত কমিশনের সময়ে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে সহিংসতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাবকেই দায়ী করেছিলেন সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা। সার্চ কমিটির সুপারিশে রাষ্ট্রপতি নতুন সিইসি হিসেবে হাবিবুল আউয়ালকে চূড়ান্ত করার পর তিনিও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সব দোষ নির্বাচন কমিশনকে দিলে তিনি তা মানবেন না। দায়িত্ব নেওয়ার দিনও তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য স্ব স্ব অবস্থান থেকে করণীয় না করেন, উনারা নিজেদেরকে প্রশ্ন করবেন, নাকি আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন? তাহলে আমি সবিনয়ে বলব, আমাদের ক্ষমা করবেন। আপনাদের কিছু যদি ব্যর্থতা থাকে. তবে সেটাও স্বীকার করুন। সবাই যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রিস্টোর করুন। একটা ভালো সংসদ উপহার দিতে চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না।” কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এই নতুন ইসির অধীনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তবে সে সময় আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, সেই নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, “বিএনপি যদি এমন ঘোষণা দিয়েও থাকে, আমরা কী তাদের চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাব না? কোনো কথাই শেষ কথাই নয়।”