দলের পদ ফিরে পেলেন সুফিয়ানসহ তিন নেতা

6

নিজস্ব প্রতিবেদক

সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৩ নেতাকে দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সদস্য পদ ফিরে পাওয়া নেতারা হলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক পটিয়ার এনামুল হক এনাম ও কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক এস এম মামুন মিয়া।
গতকাল বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পত্রে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির এই ৩ নেতার প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল।
স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পৃথক চিঠিতে বলা হয়, ইতিপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১ সেপ্টেম্বর দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ আপনার সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল।আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আপনার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারসহ প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এখন থেকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে আপনি কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে দল আশা রাখে। ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য আপনাকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এদিকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আবু সুফিয়ান বলেন, যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ওপর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, সে ঘটনার সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত ছিলাম না এবং আমার ন্যুনতম সম্পর্কও ছিল না। তারপরও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দল থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, আমি তা মাথা পেতে নিয়েছিলাম। কারণ আমার ভিতরে সৎ সাহস ছিল, আমি কোন অপরাধ করিনি। দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনও কোন অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করিনি এবং দলের নীতি ও আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হয়নি। সততা ও স্বচ্ছতার সাথে শুধু রাজনীতিই করেছি। পরিচ্ছন্ন ভাবমুর্তির কারণে দলীয় পদে স্থগিতাদেশ এবং প্রাথমিক সদস্য পদ না থাকার পরেও দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমার পাশে ছিল। আমাকে তারা ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছিল যার কারণে পদপদবী না থাকার বিষয়টি অনুভব করতে পারিনি। তারপরও সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে ভুল-ভ্রান্তি থাকবে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আগামীতেও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নিজেকে আরও বেশি নিয়োজিত রাখব। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানসহ দলের হাইকমান্ডের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। দলের এই সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। অতীতের মতো আগামী দিনেও দেশের কল্যাণে, দলের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে যাব- এটাই আমার প্রত্যাশা।