দন্ডিত দুই রয়টার্স সাংবাদিকের আপিল শুনানি সম্পন্ন

53

মিয়ানমারে দাফতরিক গোপনীয়তা আইনে দন্ডিত দুই রয়টার্স সাংবাদিকের আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মুলতুবি করা হয়েছে। তবে রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। নিম্ন আদালতের রায়ে ৭ বছরের সাজা ঘোষণার পর নভেম্বরের শুরুতে তাদের আইনজীবীর পক্ষ থেকে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্যদের আমন্ত্রণে এক রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন মিয়ানমারে কর্মরত রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ে ও। পরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দাফতরিক গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার দেখায়। রাখাইনের ইন দিন গ্রামে সেনা অভিযানের সময় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার ওপর অনুসন্ধান চালাতে গিয়েই মামলার কবলে পড়েন তারা।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের বিরুদ্ধে সাত বছর করে কারাদন্ড ঘোষণা করে ইয়াঙ্গুনের একটি জেলা আদালত। নভেম্বরের শুরুতে ইয়াঙ্গুনের হাইকোর্টে দুই সাংবাদিকের পক্ষে আপিল করেন তাদের আইনজীবীরা। ২৪ ডিসেম্বর সেই আপিলের শুনানি চলাকালে সরকার পক্ষের আইনজীবী খাইন খাইসে সোয়ে আদোলতকে বলেন, আসামীরা গোপন নথি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছেন। প্রমাণ হয়েছে যে, তারা জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। আপিলকারীদের আইনজীবী এল. খুন রিং পান যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেছেন, সরকার পক্ষের কৌশলী দুই আসামীর গোপন তথ্য সংগ্রহগ এবং মিয়ানমারের শত্রুর কাছে তা হস্তান্তরের কোনও তথ্যপ্রমাণ আদালতে হাজির করতে পারেনি।
তবে নিম্ন আদালত আসামীর ঘাড়েই নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের দায়ভার অর্পণ করেছে। রিং পান বলেন, ‘আমি যেসব নথিপত্র ও রেফারেন্স আদালতে উপস্থাপন করেছি তাতে প্রমাণ হয় আসামীরা নির্দোষ।’ নিম্ন আদালতের রায় যথাযথ নয় উল্লেখ করে দন্ডিত দুই সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি। দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার তারিখ না জানিয়েই আদালত মুলতুবি ঘোষণা করা হয়েছে।